Sunday, January 17, 2021

সমগ্র মানব জাতির পিতা ভগবান মনুকে কেনো বলা হয়েছে?

 সমগ্র মানব জাতির পিতা ভগবান মনু।

কিন্তু আমরা সকলেই দিব্য মহামুনি ঋষি গণের বংশধর।।


মনুও শতরূপার- দুই পুত্র প্রিয়ব্রত, উত্তানপাদ ও তিন কন্যা-আকূতি,দেবহূতি,প্রসূতি 

।অন্য দিকে মরিচী,অঙ্গিরা, অত্রি,পুলস্থ্য, পুলহ, ক্রতু, ভৃগু,বৈশিষ্ট, দক্ষ,ওঁরা কেউও মনুর পুত্র না,বা মনু বংশ না,কিন্তু উনাদের পুত্র পৌত্রাদি ক্রমে বংশ আছে,।

মনুর বংশধর আমরা যদি সবাই হই তবে একই রক্তের নারীপুরুষের সাথে বিবাহ নিষেদ করা হত না।কিন্তু স্বয়ং মনু নিজেই একই বংশের বা রক্তের সম্পর্কের মধ্যে নারীপুরুষের বিবাহ নিষেদ করেছেন।

এমন কি মনুর কন্যাগনের আপন ভাই থাকা সত্ত্বেও, পুত্রিকা ধর্ম অনুযায়ী প্রথম কন্যা আকূতিকে প্রজাপতি রুচির সাথে বিবাহ দেন।

২য় কন্যা দেবহূতি কে কর্দম মুনির সাথে বিবাহ দেন।তৃতীয় কন্যা প্রসূতি কে দক্ষের সাথে বিবাহ দেন।

 এতে সুস্প্রষ্ট যে সকলেই মনুর  বংশধর নয়, তবে মনু প্রথম প্রজাপতি রুপে /কন্যা বিবাহ দিয়ে প্রজাবৃদ্ধি তে মহৎভূমিকা রাখেন এবং এই হতে প্রজাবৃদ্ধি সূচনা হয়, তাই

সকল মানব জাতির পিতা মনু,তাই মনুর পত্নী শতরুপা হওয়াতে পিতার পত্নী মাতা হন। পরিশেষে বলি সনাতন শাস্ত্রের গোত্র বিষয়ে বিচার করলেই এবং একই রক্তের বন্ধন থাকলে বিবাহ নিষিদ্ধ করণ, তা মনু নিজেই বিধান দিয়াছেন,।তা হতে প্রমানিত যে মনু বংশ সকলে নয় বরং মুনিঋষিগনে বংশধর আমরা,আর মনু মানব সভ্যতাকে বিকশিত করেছে মানবের উৎস -মানে শক্তি, শান্তি, ধর্ম,জ্ঞান বিজ্ঞান,শাষণ, সুশৃঙ্খলা প্রদান করেছেন, মনুষ্যের ধর্ম (মনুর আচরণ ই মনুধর্ম্ম অর্থাৎ মনুষ্যধর্ম্ম)প্রজার ধর্ম শিখাইয়াছেন তাই মনুর শাষণে সমগ্র পৃথিবী ছিল। তাই মনুর নাম অনুসারে মানব জাতি পরিচিত।

আর এই মানব জাতির উৎস মনু, তাই মনুকে পিতা বা জনক বলা হয়।


উদাহরণ স্বরুপ বলা যাইতে পারে -বর্তমানে প্রতিটি স্বাধীন দেশেরই জাতির পিতা আছে, যেমন -বাঙ্গালির জাতির পিতা,ভারতবাসীর জাতির, পাকিস্তানিদের জাতির পিতা--তা লক্ষ্য করলেই বোঝিয়া যাবেন আশা করি।

                ((জয় শ্রীকৃষ্ণ))

          (শ্রী সমীরণ ভট্টাচার্য্য)

Ekadoshi

তর্পণ বিধি

 আমি প্রথমেই মহালয়া বিষয়ে দু'একটা কথা বলে নিই, তারপর  তর্পণ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।  মহালয়া মানে শুধু মায়ের আগমন নয়, মহাল...

চারবর্ণের অশৌচ ব্যবস্তা