Monday, October 19, 2020

#অশৌচাবস্থায় নিত্য, কাম্য বা দান হোমাদি,পূজা করা শাস্ত্রে নিষেদ করা হয়েছে কি না আসুন দেখে নিই।

 অশৌচাবস্থায় নিত্য,  কাম্য বা দান হোমাদি,পূজা করা শাস্ত্রে নিষেদ করা হয়েছে।।


বর্তমানে বৈষ্ণব নাম দ্বারি নব্য কৃষ্ণ ভক্তগন গীতা ভাগবত পাঠে আলোচনার নামে ধর্মীয় আলোচনা করতে গিয়ে অশাস্ত্রীয় বিধি দিয়ে থাকেন, উনাদের বক্তব্য হলো :অশৌচ অবস্তায় নিত্যকর্ম্ম অনুসারে নিজ দেব গৃহে পূজা করা যাবে,কারন দেবতা কে অভূক্ত রাখা যাবে না।পুরোহিত গন যে ব্যাবস্থা দিয়ে থাকেন তা সম্পোন্য ভূল,তাই অশৌচ অবস্থায় ও দেবতার পূজা করে জাবে, নিজ ইষ্টদেবতা কে অভূক্ত রাখতে নাই,(এরখম কুযুক্তিদ্বারা শাস্ত্রনিষিদ্ধ কর্ম করাতে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে নব্য কৃষ্ণভক্ত পাষণ্ডগন।)

আসুন দেখি শাস্ত্রে কি বলা আছে --

(১)প্রথম প্রমাণ-ভগবান বেদব্যাস বলিলেন-

দশাহং প্রাহুরাশৌচং সপিণ্ডেষু বিপশ্চিতঃ।

মৃতেষু বাপি জাতেষু ব্রাহ্মণানাং দ্বিজোত্তমাঃ।।

নিত্যানি চৈব কর্ম্মাণি কাম্যানি চ বিশেষতঃ।

ন কুর্য্যাদ্বিহিতং কিঞ্চিৎ স্বাধ্যায়ং মনসাপি চ।।


অনুবাদঃ ব্যাস বলিলেন-সপিণ্ড জননে বা সপিণ্ড-মরণে ব্রাহ্মণের দশাহাশৌচ মুনিগণ বলিয়াছেন।এই অশৌচ অবস্থায় নিত্য,কাম্য বা অন্য বিহিত কর্ম্ম কিছুই করিবে না এবং মনে ও বেদের আলোচনা করিবে না।

কূর্ম্ম-পুরাণ, উপরিভাগ২৩তম অধ্যায়১-২নং শ্লোক।


 (২)এই নিয়ম শুধু ব্রাহ্মণের জন্য নয়,চার বর্ণের পৃথক পৃথক অশৌচ অবস্থায় যজ্ঞ পুজা দেবগৃহ প্রবেশকরে নিত্য পুজা ও ভূগ নৈবদ্য প্রদান করা নিষেদ,

বেদব্যাস বলিলেন-

দশাহং ব্রাহ্মণস্তিষ্ঠেদ্দানহোমবিবর্জ্জিতঃ।

ক্ষত্রিয়ো দ্বাদশাহঞ্চ বৈশ্যো মাসার্দ্ধমেব চ।।

শূদ্রশ্চ মাসামাসীত নিজকর্ম্মবিবর্জ্জিতঃ।


অনুবাদঃ ভগবান ব্যাস বলিলেন-জন্ম ও মরণ উপলক্ষে ব্রাহ্মণ দশাহ,ক্ষত্রিয় দ্বাদশাহ,বৈশ্য মাসার্দ্ধ যাবৎ দান হোম বর্জ্জন পূর্ব্বক থাকিবে।শুদ্র এক মাস নিজ কর্তব্য বর্জ্জন করিবে।অর্থাৎ নিত্য নৈমিত্তিক কাম্য কর্ম্ম কর্ম্মাদি অনুষ্টান করিবে না।

ব্রহ্মপুরাণ২২১/১৪৭-১৪৮।।


(৩)ঐ একই কথা বলা হয়েছে মার্কেণ্ডপুরাণে

জননাশৌচেও মরণাশৌচে বিপ্রগণ দশদিন যাবৎ দান  হোমাদি  নিত্যকর্ম্ম -বর্জ্জিত হইয়া অবস্থিতি করিবেন এবং ক্ষত্রিয়গণ দ্বাদশদিন,বৈশ্যরা পঞ্চদশ দিন ও শুদ্রগণ একমাস যাবৎ দান ঐরূপ আচরণে থাকিবে।


ততঃ পরং নিজং কর্ম্ম কুর্য্যঃ সর্ব্বে যথেপ্সিতম।


তৎপরে সকলেই শাস্ত্রোক্ত বিধানে স্ব স্ব কর্ম্মের অনুষ্টান করিবে।

মার্কেণ্ডপুরাণ ৩৫/৪০-৪১

অশৌচ অন্তহলে তৎপরে স্ব স্ব কর্ম্মের অনুষ্টন  শাস্ত্রউক্ত ভাবে  সম্পোন্য করিবে।

শাস্ত্র বিধি মান্য করেই আমাদের কে চলতে হবে, কি কর্ম্ম কি অকর্ম্ম তা শাস্ত্র হতেই নির্নয় করতে হবে ইহা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদেশ।

আর এই আদেশ কে মান্য করা আমাদের সকলের ই কর্তব্য।।

                          জয় শ্রীকৃষ্ণ।।

                   ((শ্রী সমীরণ ভট্টাচর্য্য))

No comments:

Ekadoshi

তর্পণ বিধি

 আমি প্রথমেই মহালয়া বিষয়ে দু'একটা কথা বলে নিই, তারপর  তর্পণ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।  মহালয়া মানে শুধু মায়ের আগমন নয়, মহাল...

চারবর্ণের অশৌচ ব্যবস্তা