উপনয়ন ছাড়া শ্রৌত ও স্মার্ত কাজে অধিকার হয় নাঃউপনয়ন ছাড়া শ্রৌত ও স্মার্ত কোনো কাজে অধিকার হয় না।মনুসংহিতায় বলা হয়েছে, " বেদপ্রদানাদাচার্যং পিতরং পরিচক্ষতে ।ন হ্যস্মিন্ যুজ্যতে কর্ম কিঞ্চিদামৌঞ্জিবন্ধনাৎ( ২|১৭১)।" সরলার্থ হলো, "উপনয়নের আগে শ্রৌত ও স্মার্ত কোনো কাজে অধিকার হয় না।আচার্য উপনয়ন দিয়ে এবং বেদ অধ্যয়ন করিয়ে উক্ত কাজে অধিকার করিয়ে দেন,তাই আচার্য মহান উপকারক বলে মনু প্রভৃতি এঁকে পিতা বলেছেন ।"নারীদের উপনয়ন সংস্কার না থাকায় শ্রৌত ও স্মার্ত কর্ম হতে বঞ্চিত করা হয়েছে ।এমনকি ব্রাহ্মণ সন্তানদের উপনয়ন না হওয়া পর্যন্ত শ্রৌত ও স্মার্ত কর্ম করার নিষেধ দেয়া হয়েছে ।কাজেই, যারা উপনয়ন সংস্কার ছাড়া শ্রৌত ও স্মার্ত কর্ম করছেন তারা শাস্ত্রীয় বিধানমতে করছেন না।হয়তো কেউ কেউ বলবেন, মনুস্মৃতি সত্য যুগের জন্য প্রযোজ্য ।আমি বলি, মনু হলেন মানব জাতির আদি পিতা ।তাই পিতার কথা আমাদের অবশ্যই মেনে চলা উচিত ।কারণ পিতার কথা কখনো বাসী হয় না।তাছাড়া শ্রুতির সাথে বিরোধ হলে স্মৃতি অবশ্যই অগ্রাহ্য ।আমার ব্যাখ্যা ধর্মশাস্ত্র তথা স্মৃতি শাস্ত্রের আলোকে, আমার কোনো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়।তবে কেউ শাস্ত্র না মেনে শ্রুতি ও স্মৃতি অধ্যয়ন করলে সেটা তাদের নিজস্ব দায়িত্ব ।
1 comment:
darun
Post a Comment