Friday, May 17, 2019

প্রকৃত বৈষ্ণব কে? প্রকৃত বৈষ্ণের সংজ্ঞা কি?

প্রকৃত বৈষ্ণব কে?
বেদবিদ্যানুরক্তা যে বিপ্রভক্তিরতাঃ সদা।
    নপুংসকা পরস্ত্রীষু জ্ঞেয়াস্তে বৈষ্ণবা জনাঃ।।
অনুবাদ-যাহারা বেদবিদ্যানুরক্ত,সর্ব্ব বিপ্রভক্ত ও পরদারবিমুখ
তাহারাই বৈষ্ণবজন।।
                (পদ্মপুরান,ক্রিয়াযোগসারঃ২/৯০)
নব্য বৈষ্ণব --এনারা'বিপ্রভক্তিরতা'তো দূরের কথা ব্রাহ্মণদের অপদস্হ করতে সর্বদা ব্যতিব্যস্ত থাকেন এবং বর্ণাশ্রম  মানেন না
তাছারা কলির ব্রাহ্মণদের 'রাক্ষস' বানানোর জন্য ভুয়া শ্লোখ তৈরী করতেও এনারা ওস্তাদ।এনাদের লিখিত পুস্তকে পাওয়া যায়।
কলিযুগে রাক্ষস -সকল-বিপ্রের ঘরে।
    জন্মিবেক সুজনেরে হিংসা করিবারে।
ইত্যাদি বলে বরাহ পুরানের একটি খন্ডিতাংশ প্রয়োগ করে।
সমাধান-অনুসন্ধানপূর্বক দেখা গিয়াছে রবাহ পুরানে ঐরকম কোন শ্লোখ অস্তিত নেই।যদি কলির ব্রাহ্মণ রাক্ষস হয়,তবে শ্রীচৈতন্য  মহাপ্রভু, শ্রীমন্নিত্যানন্দ মহাপ্রভু, শ্রীঅদ্বৈত মহাপ্রভু, গদাধর,শ্রীবাস,শ্রীরুপ গোস্বামী, শ্রীসনাতন গোস্বামী, শ্রীজীব গোস্বামী প্রভৃতি প্রধান প্রধান বৈষ্ণবচার্য্যগণের পরিচয় কি?কারণ'তাঁরা প্রত্যেকেই তো ব্রাহ্মণ সন্তান! সেজন্য প্রকৃত বৈষ্ণব সর্বদা বর্ণধর্মের পালন করবে এবং ব্রাহ্মণগণের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে চলবে।ব্যাসদেব বলেছেন'
        পাষণ্ডসঙ্গরহিতা বিপ্রদ্বেষবিবর্জ্জিতাঃ।
        সিঞ্চেয়ুস্তুলসীং যে চ জ্ঞাতব্যা বৈষ্ণবা নরাঃ।।
অনুবাদ-যাঁহারা পাষণ্ডসঙ্গ করেন না।ব্রাহ্মণে যাহাদের দ্বেষ নাই,এবং যাঁহারা তুলসী তরু সেক করেন,সেই নরগণকেই বৈষ্ণব বলিয়া জানিবে, 
এবিষয়ে এই ভিডিও আলোচনাটি দেখলে আরো  কিছুটা সহজে বুঝতে পারবেন। 

  
                      (পদ্মপুরান, ব্রহ্মখণ্ড ১/২৬)
অথ চ যস্ত্বিহ বা আত্নসম্ভাবনেন স্বয়মধমো
    জন্মতপোবিদ্যাচারবর্ণাশ্রমবতো বরীযকো ন বহু মন্যেত স 
    মৃতক এব মৃত্বা ক্ষারকর্দমে নিরয়েহবাক্ শিরা নিপাতিতো
    দুরন্তা যাতনা হ্যশ্নুতে।।
অনুবাদ- যে ব্যক্তি নিম্ন শ্রেনীতে জন্মগ্রহন করেও মিথ্যা অহংকারে জন্ম,তপস্যা,বিদ্যা,আচার,বর্ণ ও আশ্রম উৎকৃষ্ট পূজনীয় ব্যক্তির সম্মান না করে,সেই ব্যক্তি জিবন্নৃত।দেহান্তে তাহাকে ক্ষারকর্দম নামক নরকে অধোমুখ করিয়া নিক্ষেপ করা হয় এবং সেখানে তাকে দুরন্ত যাতনা ভোগ করিতে হয়।
ব্রাহ্মণের দ্বেষকারী ব্যক্তির ভগবানের আরাধনার কোন ফলই
   হয় না।দেখুন"
   যো বা কো বাপি বিপ্রেন্দ্র বিপ্রদ্বেষপরায়ণঃ।
   যদ্যর্চ্চয়তি গোবিন্দং সা পূজা বিফলা ভবেৎ।।
অনুবাদ- ব্রাহ্মণ প্রতি দ্বেষ-পরায়ণ যে কোন ব্যক্তি,যদি ভগবান্ গোবিন্দ্রের পুজা করে,তাহা হইলে তৎকৃত সেই পুজা বিফল হইবে।
                  (বৃহন্নারদীয়া পুরান'৩৫/৬)
 একদিকে মর্কট বাবাজীগণ বলেছেন,কলির ব্রাহ্মণ রাক্ষস, আরেকদিকে শাস্ত্রে কি বলা আছে দেখুন।
জৈমিনি ঋৃষি বলেছেন,
     তস্মৎ কলিযুগে তস্মিন ব্রাহ্মণো বিষ্ণুরেব চ।
     উভৌ গতিশ্চ সর্ব্বেষাং---!!
অনুবাদ- এই জন্য সেই বিষম কলিযুগে ব্রাহ্মণ ও বিষ্ণু এই উভয়ই
সকলের গতি।
       (স্কন্দপুরান,বিষ্ণুখন্ডে,পুরুষোত্তমহক্ষেত্রমাহাত্ন ৩৮/৪৪)
                      ''  তাই সাধু সাবধান,,
     

No comments:

Ekadoshi

তর্পণ বিধি

 আমি প্রথমেই মহালয়া বিষয়ে দু'একটা কথা বলে নিই, তারপর  তর্পণ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।  মহালয়া মানে শুধু মায়ের আগমন নয়, মহাল...

চারবর্ণের অশৌচ ব্যবস্তা