অশৌচের প্রয়োজনীতা কি? শাস্ত্রীয় কিছু দিকনির্দেশ,
স্মৃতোক্ত অশৌচ বিধি, অপূর্ব্ববিধির অন্তর্গত। বৈদিক সদাচারে স্মরণাতীত কাল হইতে, সনাতন সমাজে এই বিধি মর্য্যাদার সাথে আচরিত হয়। অপূর্ব্বতা বলেই, এই বিধি প্রশ্নাতীত-সংশয়াতীত মান্যতায় অঙ্গীকৃত। অন্যথায়, বিধির প্রযোজক কারন স্বীকৃত হলে, অপূর্ব্বতার হানি হয়। ইহা শাস্ত্রসিদ্ধান্ত।
সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রাকৃত লৌকিক যুক্তশীলতায়, এতদ্বিষয়ে কার্য্যকারন সম্পর্কের ব্যাখ্যায় স্বীকৃত প্রত্যক্ষ, অধিক হর্ষ-বিষাদজনিত কারনে অন্তঃকরন চঞ্চলতা প্রাপ্ত হয়। এই চঞ্চলতা বশতঃ ক্রিয়া-কর্ম্মাদিতে কাঙ্খিত একাগ্রতা-নৈপুন্যতা স্বাভাবিক ব্যহত হয়। তাৎক্ষণিক ভাবজাত প্রবৃত্তি, বৈদিক কর্ম্মানুষ্ঠানের নিয়ামক রূপে স্বীকৃত নয়। অতঃ শাস্ত্রীয় অনুশাসনে, সবিশেষ আনন্দ-শোক-উদ্বেগ জনিত মনবৈকল্য প্রশমনে বর্ণধর্মানুসার আত্মীকৃত শিক্ষাতারতম্যে, অশৌচ কালভেদ সূচীত হয়। অশৌচ কাল পরিমাপ প্রতীকি। ব্রাহ্মণ্য বর্ণাশ্রমীর পালনীয় দশাহ অশৌচ কাল, চতুর্বেদ ও ষড়বেদাঙ্গের সন্মিলিত শিক্ষার রূপকে গৃহীত। ব্রাহ্মণ শ্রৌতশিক্ষায় সাময়িক মানষিক হর্ষ-বিষাদাদি অবস্থা অতিক্রমন করে স্ববৃত্তিতে যথাযথ পুণঃস্থিতি প্রাপ্ত হয়। ক্ষত্রিয় বর্ণাশ্রমী আদিত্যধর্মী। আদিত্য যেরূপ দ্বাদশ রাশিচক্র অতিক্রমনান্তর সূচনাদশায় প্রত্যাবর্তন করে, অনুরূপ, দ্বাদশাহ অশৌচান্তে ক্ষত্রিয় পুনঃ স্ববৃত্তিতে অধিকার লাভ করে। ধান্যাদি শষ্য যেরূপ ন্যুনাধিক পঞ্চদশ সপ্তাহে বীজ হতে বীজে পরিবর্তিত হয়, তদনুরূপ বৈশ্য বর্ণাশ্রমী পঞ্চদশাহ অশৌচান্তে পূর্ব্বাবস্থা প্রাপ্ত হয়। আর, যেহেতু শুদ্র বর্ণাশ্রমীর স্বাধীন বৃত্তি অস্বীকৃত, সেক্ষেত্রে মনবৃত্তির সাধারণ গতি চন্দ্রসাম্যে গৃহীত। চন্দ্র যেমন ত্রিশতিথিগত পক্ষাবর্তনে সূচনাতিথি প্রাপ্ত হয়, শুদ্র অনুরূপে ত্রিশাহ অশৌচান্তে স্ববৃত্তস্থতা প্রাপ্ত হয়।৷
৷৷৷৷৷৷৷৷৷ ৷ (লেখক শ্রী মানিক চক্রবর্তী )৷৷৷৷৷৷
স্মৃতোক্ত অশৌচ বিধি, অপূর্ব্ববিধির অন্তর্গত। বৈদিক সদাচারে স্মরণাতীত কাল হইতে, সনাতন সমাজে এই বিধি মর্য্যাদার সাথে আচরিত হয়। অপূর্ব্বতা বলেই, এই বিধি প্রশ্নাতীত-সংশয়াতীত মান্যতায় অঙ্গীকৃত। অন্যথায়, বিধির প্রযোজক কারন স্বীকৃত হলে, অপূর্ব্বতার হানি হয়। ইহা শাস্ত্রসিদ্ধান্ত।
সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রাকৃত লৌকিক যুক্তশীলতায়, এতদ্বিষয়ে কার্য্যকারন সম্পর্কের ব্যাখ্যায় স্বীকৃত প্রত্যক্ষ, অধিক হর্ষ-বিষাদজনিত কারনে অন্তঃকরন চঞ্চলতা প্রাপ্ত হয়। এই চঞ্চলতা বশতঃ ক্রিয়া-কর্ম্মাদিতে কাঙ্খিত একাগ্রতা-নৈপুন্যতা স্বাভাবিক ব্যহত হয়। তাৎক্ষণিক ভাবজাত প্রবৃত্তি, বৈদিক কর্ম্মানুষ্ঠানের নিয়ামক রূপে স্বীকৃত নয়। অতঃ শাস্ত্রীয় অনুশাসনে, সবিশেষ আনন্দ-শোক-উদ্বেগ জনিত মনবৈকল্য প্রশমনে বর্ণধর্মানুসার আত্মীকৃত শিক্ষাতারতম্যে, অশৌচ কালভেদ সূচীত হয়। অশৌচ কাল পরিমাপ প্রতীকি। ব্রাহ্মণ্য বর্ণাশ্রমীর পালনীয় দশাহ অশৌচ কাল, চতুর্বেদ ও ষড়বেদাঙ্গের সন্মিলিত শিক্ষার রূপকে গৃহীত। ব্রাহ্মণ শ্রৌতশিক্ষায় সাময়িক মানষিক হর্ষ-বিষাদাদি অবস্থা অতিক্রমন করে স্ববৃত্তিতে যথাযথ পুণঃস্থিতি প্রাপ্ত হয়। ক্ষত্রিয় বর্ণাশ্রমী আদিত্যধর্মী। আদিত্য যেরূপ দ্বাদশ রাশিচক্র অতিক্রমনান্তর সূচনাদশায় প্রত্যাবর্তন করে, অনুরূপ, দ্বাদশাহ অশৌচান্তে ক্ষত্রিয় পুনঃ স্ববৃত্তিতে অধিকার লাভ করে। ধান্যাদি শষ্য যেরূপ ন্যুনাধিক পঞ্চদশ সপ্তাহে বীজ হতে বীজে পরিবর্তিত হয়, তদনুরূপ বৈশ্য বর্ণাশ্রমী পঞ্চদশাহ অশৌচান্তে পূর্ব্বাবস্থা প্রাপ্ত হয়। আর, যেহেতু শুদ্র বর্ণাশ্রমীর স্বাধীন বৃত্তি অস্বীকৃত, সেক্ষেত্রে মনবৃত্তির সাধারণ গতি চন্দ্রসাম্যে গৃহীত। চন্দ্র যেমন ত্রিশতিথিগত পক্ষাবর্তনে সূচনাতিথি প্রাপ্ত হয়, শুদ্র অনুরূপে ত্রিশাহ অশৌচান্তে স্ববৃত্তস্থতা প্রাপ্ত হয়।৷
৷৷৷৷৷৷৷৷৷ ৷ (লেখক শ্রী মানিক চক্রবর্তী )৷৷৷৷৷৷
No comments:
Post a Comment