শ্রাদ্ধবাসরে গীতাদান ও গীতাপাঠের বিশেষত্ব নিয়ে অনেকেই
অনেক মন্তব্য করার চেষ্টা করেন, আপনাদের উদ্দেশ্য
গীতা থেকেই এবিষয়ে আলোকপাত
করবার চেষ্টা করচ্ছি, বিশেষ করে গীতার মাহাত্ম্যে
এবিষয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে, যেমন-
য্দ্ যৎ কর্ম চ সর্বত্র গীতাপাঠ প্রকীর্তিমৎ৷
তত্তৎ কর্ম চ নির্দোষং ভূত্বা পূর্ণত্বমাপ্নুয়াৎ ॥৬৩॥
অর্থ:যে সমস্ত কর্ম গীতাপাঠ সহকারে অনুষ্ঠিত হয়, সে সমস্তই নির্দোষ হয়ে পূর্ণত্ব লাভ করে৷
পিতৃনুদ্দিশ্য যঃ শ্রাদ্ধে গীতাপাঠং করোতি হি৷
সন্ত্তষ্টাঃ পিতরস্তস্য নিরয়াদ্ যান্তি স্বর্গতিম্ ॥৬৪॥
অর্থ:পিতৃগণের উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি শ্রাদ্ধে গীতাপাঠ করেন, তাঁর পিতৃগণ সন্তুষ্ট হন ও নরক থেকে স্বর্গে গমন করেন৷
গীতাপাঠেন সন্ত্তষ্টাঃ পিতরঃ শ্রাদ্ধতর্পিতাঃ৷
পিতৃলোকং প্রয়ান্ত্যেব পুত্রাশীর্বাদতৎপরাঃ ॥৬৫॥
অর্থ: শ্রাদ্ধকালে গীতাপাঠ দ্বারা শ্রাদ্ধতর্পিত পিতৃগণ, সেই পুত্রকে আশীর্বাদ করতে করতে পিতৃলোক গমন করেন৷
গীতাপুস্তকদানঞ্চ ধেনুপুচ্ছ সমন্বিতম্ ৷
কৃত্বা চ তদ্দিনে সম্যক্ কৃতার্থো জায়তে জনঃ ॥৬৬॥
অর্থ:চামর সমন্বিত গীতাগ্রন্থ দান করলে সেই দিনেই মানুষ সম্যক্ ভাবে কৃতার্থতা লাভ করে৷
পুস্তকং হেমসংযুক্তং গীতায়াঃ প্রকরোতি যঃ ৷
দত্ত্বা বিপ্রায় বিদুষে জায়তে ন পুনর্ভবম্ ॥৬৭॥
অর্থ:পণ্ডিত ব্রাহ্মণকে যিনি সুবর্ণ সংযুক্ত গীতা দান করেন, তাঁর আর জন্ম হয় না৷
শতপুস্তকদানঞ্চ গীতায়াঃ প্রকরোতি যঃ
স যাতি ব্রহ্মসদনং পুনরাবৃত্তিদুর্লভম্ ॥৬৮॥
অর্থ:যিনি একশতখানি গীতা দান করেন, তিনি পুনরাবৃত্তিদুর্লভ ব্রহ্মধামে গমন করেন৷
গীতাদানপ্রভাবেন সপ্তকল্পমিতা সমাঃ৷
বিষ্ণুলোকমবাপ্যন্তে বিষ্ণুনা সহ মোদতে ॥৬৯॥
অর্থ:গীতাদান-প্রভাবে সপ্ত-কল্পকাল যাবৎ বিষ্ণুলোকে স্থান লাভ করে জীব পরমানন্দে বিষ্ণুর সঙ্গে বাস করেন৷
সম্যক্ শ্রুত্বা চ গীতার্থং পুস্তকং যঃ প্রদাপয়েৎ৷
তস্মৈ প্রীতং শ্রীভগবান্ দদাতি মানসেপ্সিতম্ ॥৭০॥
অর্থ:যিনি গীতার্থ সম্যকভাবে শ্রবণ করে সেই পুস্তক ব্রাহ্মণকে দান করেন, শ্রীভগবান প্রীত হয়ে তাঁর মনোভীষ্ট পূরণ করেন৷ জয় গীতা