বেদ-বিহীন সনাতন ধর্ম্মচর্চ্চা ও
হালে আমাদের অবক্ষ
পুনঃশ্চ------ সত্যদর্শী ঋষিগণের মাধ্যমে
প্রতিভাত হওয়া বেদ জ্ঞান হিন্দু আইনশাস্ত্র
মতে নিত্য এবং অবশ্যপাঠ্য। ইতিহাসের সাক্ষ্য
কয়েক শতক আগেও বেদ জ্ঞান ছিল প্রতিটি
হিন্দুর প্রাত্যাহিক জীবনের সাথে সম্পৃক্ত। যুগে
যুগে পারস্পরিক সময়ের বিবর্তনে, পার্থিব
প্রীতি, ধর্ম্মীয় অজ্ঞানতার করালগ্রাসে,
ঔপনিবেশিকদের ঘোর চক্রান্তে, তথাকথিত
ধর্মপ্রচারক ও ধর্মব্যবসায়ীদের অপপ্রচারে
বিভ্রান্ত হয়ে আমরা আজ মহান বেদ এর
আলোকিত পথ থেকে সরে পথহারা বিভ্রান্ত। এরই
ফল স্বরুপ আমরা আজ ধর্ম্মীয় জাতি হিসেবে এক
ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে। জ্ঞানের অভাবে নিত্য
নৈমিত্তিক অন্য ধর্মালম্বীদের কাছে অপমানের
স্বীকার তো বটেই।
এই কলিযুগে সাধারন মানুষের পক্ষে বেদ পরা
সম্ভব নয় অথবা বেদ পরার পবিত্রতা মানুষের নেই
এরকম একটা কথা অনেকেই প্রচার করে থাকেন।
তারা আরও বলেন যে বেদবিহিত কর্মসমুহ
কলিযুগের মানুষের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। আসলেই
কি তাই?
প্রথমেই দেখি বেদ কি বলেছে-
" পুরো মহাবিশ্ব পাল্টে যেতে পারে, কিন্তু
মহাবিশ্বের সংবিধান "বেদ" সকল কালের জন্য
প্রযোজ্য যা সর্বদা অপরিবর্তিত থাকবে"
ঋগবেদ ১/৯০/২
বেদ সকল যুগ ও কালের জন্য প্রযোজ্য। এর বাণী
কখনো অপ্রাসঙ্গিক হয়না, অচল হয়না।
"বেদ" মন্ত্র কলিযুগে নিষ্ক্রিয়-এ ধরনের প্রলাপ
তাই অনর্থক। সর্বযুগেই তা আধুনিক।
"অংতি সন্তং ন জহাত্যন্তি সন্তং ন পশ্যতি।
দেবস্য পশ্য কাব্যং ন মমার ন জীর্যতি।"
অথর্ববেদ ১০.৮.৩২
অর্থাৎ, মনুষ্য সমীপবর্ত্তী পরমাত্মাকে দেখে না
আবার, তাহাকে ছাড়িতেও পারেনা। পরমাত্মার
বানী বেদকে দেখ, কখনও অচল হয়না, কখনও
অপ্রাসঙ্গিক বা জীর্ন হয়না। মনিষীরা কি
বলেছেন একটু শুনি-
"বেদ হচ্ছে সকল সত্য জ্ঞানের উৎস। মহাকর্ষ
শক্তি যেমন তা আবিস্কারের আগেও বিদ্যমান
ছিল, তেমনি মানবজাতি যদি এটা ভুলেও যায়
তারপরও এটা অপরিবর্তিতভাবে বিদ্যমান
থাকবে।
ঠিক তেমনি বেদ" (স্বামী বিবেকানন্দ, Comp lete
work,vol paper on Hinduism) ও
Dayanand Saraswati - যিনি বেদের আধ্যাত্মিক
অনুবাদক, তিনি বলেছিলেন-
"বেদ হল একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা সকল যুগের জন্য
একেবারে সুবিধা জনক ভাবে প্রযোজ্য।"
যেখানে বেদ বলছে এটা সব যুগের জন্য প্রযোজ্য
সেখানে কতিপয় জ্ঞানপাপীর এহেন আচরন
সন্দেহজনক। এবার আমরা আসি বাস্তবিক যুক্তি
প্রয়োগে। ঈশ্বর হলেন ত্রিকালজ্ঞ অর্থাৎ- যিনি
অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সব জানেন। তাহলে
তার পক্ষে কেন সম্ভব হবেনা এমন কোন গ্রন্থ
প্রেরন করা যা সর্বযুগের মানুষের জন্য প্রযোজ্য?
তাছাড়া এসব অবান্তর যুক্তি যারা পেশ করেন
তারা নিজেরা কি কখনও বেদ পড়েছেন তাদের
কথার সত্যতা যাচাই এর জন্য? তাদের প্রতি
আহবান জানাচ্ছি, - পারলে বেদের এমন কোন
নিয়ম দেখান যা বর্তমান যুগের জন্য প্রযোজ্য নয়।
বরং এটা কলি যুগে আরও বেশি প্রয়োজন কারন
বেদের কর্মকান্ড প্রতিদিনের নিত্যকর্মাদি,
দর্শন, বিজ্ঞান, আইন, অর্থনীতি ও রাজনীতি
ব্যখ্যা করেছে যা সত্য যুগের তুলনায় কলি যুগেই
বেশী দরকার। আরেকটি প্রশ্ন করেন তারা -
বেদের বৃহৎ কলেবর নিয়ে যেটা সম্পূর্ন
ভিত্তিহীন। কারন বৈদিক যুগেও এমন খুব কম
লোকই ছিলেন যারা সবকটা বেদ জানতেন। কেউ
বা একটা, কেউ বা দুটা, কেউ তিনটা, কেউবা
চারটাই জানতেন - যাদের যথাক্রমে একবেদী,
দ্বিবেদী, ত্রিবেদী ও চতুর্বেদী বলা হত। তবে
ত্রিবেদী ও চতুর্বেদী ছিল হাতে গোনা।
একবেদী রা ই ছিল সর্ব্বোচ্চ। আর তাছাড়া কেউ
ই আমাদেরকে বেদ মুখস্ত করতে বলছেনা। আর এ
ধরনের প্রচারকারীদের মধ্যে অনেকেই বলেন
"শ্রীমদভাগবত" পড়ার কথা! এখন আপনারা ই বলুন,
যেখানে যজুর্বেদ এর মন্ত্রসংখ্যা ২০০০ সেখানে
এর বদলে এর কয়েকগুন বড় একটা পুরান কলেবরের
দোহাই দিয়ে পরতে বলাটা কতটুকু যৌক্তিক?
আশাকরি আপনারাই ভাল বুঝবেন।
অনেকেই বলেন বেদপাঠ করার মত পবিত্রতা
কলিযুগের মানুষের নেই। কথাটা যে কি পরিমান
ভিত্তিহীন তা একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়।
প্রথমেই আসি হিন্দু আইনশাস্ত্র "মনুসংহিতা"
তে।
মনুসংহিতা ১/৮৫
"চারযুগে(সত্য,ত্রেতা, দ্বাপর,কলি) দায়িত্বের
রকমভেদ রয়েছে কারন প্রতি যুগে মানুষের আয়ু
হ্রাস পাচ্ছে"
১/৮৬- "সত্য যুগে ধ্যন ত্রেতায় জ্ঞান দ্বাপর এ
যজ্ঞাদি ও কলিতে মোক্ষ।(হরিনাম এর একমাত্র
উপায় এ কথা কোথাও বলা হয়নি। হরিনাম খুব ই
পবিত্র সন্দেহ নেই, কিন্তু শুধু হরিনাম করলেই
মোক্ষ লাভ হয়না)
১/৮৭- কিন্তু মহাবিশ্বের ভারসাম্য রক্ষার্থে
সবসময় ই চার ধরনের পেশা ভাগ করা হয়েছে।
১/৮৮- ব্রাক্ষ্মনরা নিজ স্বার্থত্যগ করে কাজ
করবে,বেদ পরবে এবং তা অপরকে শেখাবে।
১/৮৯ - ক্ষত্রিয়রা বেদ জ্ঞান লাভ করবে ,
লোকরক্ষা ও রাজ্য পরিচালনায় নিযুক্ত থাকবে।
১/৯০ -"বৈশ্যরা বেদ অনুসৃত কার্যঃ ব্যবসা ও
কৃষিকর্মে নিজেদের নিযুক্ত করবে।
১/৯১ - শুদ্ররা বেদ অনুসৃত কাজ করবে এবং
সেবামুলক কর্মকান্ডে নিযুক্ত থাকবে।
তাহলে কি স্পষ্ট হল? প্রতিযুগে কর্তব্য পালটাবে
ঠিক তবে "বেদ" জ্ঞান সর্বযুগেই আবশ্যক। আর
যারা বেদনিসৃত পবিত্রতা ও কর্মের অযোগ্য তার
হরিনাম যা সবচেয়ে পবিত্র তা নেয়ার পবিত্রতা
থাকবে কি করে ? সবচেয়ে খারাপ,অপবিত্র
লোকটিও নিজেকে বেদ নির্ভর এর কর্মকান্ডের
মাধ্যমে জ্ঞানালোকে পরিপুর্ন করতে পারে।
তাই তো সর্ব্ব দ্রষ্টা ও জ্ঞাতা ঋষি গণ কর্তৃক
শ্রোত পবিত্র "বেদ"এর ভাষায় ঘোষণা করা
হয়েছে---
"আমি মানব কল্যাণে যে বাণী তোমাদের
দিয়েছি তা প্রচার কর-
"ব্রাক্ষ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য শুদ্র নারী পুরুষ পাপী
পুন্যাত্মা নির্বিশেষে সকলকে।" যজুর্বেদ ২৬/২।।
!! হে ঈশ্বর, সকলের মঙ্গল করুন !!
ওঁ শান্তি! ওঁ শান্তি! ওঁ শান্তি!
হালে আমাদের অবক্ষ
পুনঃশ্চ------ সত্যদর্শী ঋষিগণের মাধ্যমে
প্রতিভাত হওয়া বেদ জ্ঞান হিন্দু আইনশাস্ত্র
মতে নিত্য এবং অবশ্যপাঠ্য। ইতিহাসের সাক্ষ্য
কয়েক শতক আগেও বেদ জ্ঞান ছিল প্রতিটি
হিন্দুর প্রাত্যাহিক জীবনের সাথে সম্পৃক্ত। যুগে
যুগে পারস্পরিক সময়ের বিবর্তনে, পার্থিব
প্রীতি, ধর্ম্মীয় অজ্ঞানতার করালগ্রাসে,
ঔপনিবেশিকদের ঘোর চক্রান্তে, তথাকথিত
ধর্মপ্রচারক ও ধর্মব্যবসায়ীদের অপপ্রচারে
বিভ্রান্ত হয়ে আমরা আজ মহান বেদ এর
আলোকিত পথ থেকে সরে পথহারা বিভ্রান্ত। এরই
ফল স্বরুপ আমরা আজ ধর্ম্মীয় জাতি হিসেবে এক
ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে। জ্ঞানের অভাবে নিত্য
নৈমিত্তিক অন্য ধর্মালম্বীদের কাছে অপমানের
স্বীকার তো বটেই।
এই কলিযুগে সাধারন মানুষের পক্ষে বেদ পরা
সম্ভব নয় অথবা বেদ পরার পবিত্রতা মানুষের নেই
এরকম একটা কথা অনেকেই প্রচার করে থাকেন।
তারা আরও বলেন যে বেদবিহিত কর্মসমুহ
কলিযুগের মানুষের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। আসলেই
কি তাই?
প্রথমেই দেখি বেদ কি বলেছে-
" পুরো মহাবিশ্ব পাল্টে যেতে পারে, কিন্তু
মহাবিশ্বের সংবিধান "বেদ" সকল কালের জন্য
প্রযোজ্য যা সর্বদা অপরিবর্তিত থাকবে"
ঋগবেদ ১/৯০/২
বেদ সকল যুগ ও কালের জন্য প্রযোজ্য। এর বাণী
কখনো অপ্রাসঙ্গিক হয়না, অচল হয়না।
"বেদ" মন্ত্র কলিযুগে নিষ্ক্রিয়-এ ধরনের প্রলাপ
তাই অনর্থক। সর্বযুগেই তা আধুনিক।
"অংতি সন্তং ন জহাত্যন্তি সন্তং ন পশ্যতি।
দেবস্য পশ্য কাব্যং ন মমার ন জীর্যতি।"
অথর্ববেদ ১০.৮.৩২
অর্থাৎ, মনুষ্য সমীপবর্ত্তী পরমাত্মাকে দেখে না
আবার, তাহাকে ছাড়িতেও পারেনা। পরমাত্মার
বানী বেদকে দেখ, কখনও অচল হয়না, কখনও
অপ্রাসঙ্গিক বা জীর্ন হয়না। মনিষীরা কি
বলেছেন একটু শুনি-
"বেদ হচ্ছে সকল সত্য জ্ঞানের উৎস। মহাকর্ষ
শক্তি যেমন তা আবিস্কারের আগেও বিদ্যমান
ছিল, তেমনি মানবজাতি যদি এটা ভুলেও যায়
তারপরও এটা অপরিবর্তিতভাবে বিদ্যমান
থাকবে।
ঠিক তেমনি বেদ" (স্বামী বিবেকানন্দ, Comp lete
work,vol paper on Hinduism) ও
Dayanand Saraswati - যিনি বেদের আধ্যাত্মিক
অনুবাদক, তিনি বলেছিলেন-
"বেদ হল একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা সকল যুগের জন্য
একেবারে সুবিধা জনক ভাবে প্রযোজ্য।"
যেখানে বেদ বলছে এটা সব যুগের জন্য প্রযোজ্য
সেখানে কতিপয় জ্ঞানপাপীর এহেন আচরন
সন্দেহজনক। এবার আমরা আসি বাস্তবিক যুক্তি
প্রয়োগে। ঈশ্বর হলেন ত্রিকালজ্ঞ অর্থাৎ- যিনি
অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সব জানেন। তাহলে
তার পক্ষে কেন সম্ভব হবেনা এমন কোন গ্রন্থ
প্রেরন করা যা সর্বযুগের মানুষের জন্য প্রযোজ্য?
তাছাড়া এসব অবান্তর যুক্তি যারা পেশ করেন
তারা নিজেরা কি কখনও বেদ পড়েছেন তাদের
কথার সত্যতা যাচাই এর জন্য? তাদের প্রতি
আহবান জানাচ্ছি, - পারলে বেদের এমন কোন
নিয়ম দেখান যা বর্তমান যুগের জন্য প্রযোজ্য নয়।
বরং এটা কলি যুগে আরও বেশি প্রয়োজন কারন
বেদের কর্মকান্ড প্রতিদিনের নিত্যকর্মাদি,
দর্শন, বিজ্ঞান, আইন, অর্থনীতি ও রাজনীতি
ব্যখ্যা করেছে যা সত্য যুগের তুলনায় কলি যুগেই
বেশী দরকার। আরেকটি প্রশ্ন করেন তারা -
বেদের বৃহৎ কলেবর নিয়ে যেটা সম্পূর্ন
ভিত্তিহীন। কারন বৈদিক যুগেও এমন খুব কম
লোকই ছিলেন যারা সবকটা বেদ জানতেন। কেউ
বা একটা, কেউ বা দুটা, কেউ তিনটা, কেউবা
চারটাই জানতেন - যাদের যথাক্রমে একবেদী,
দ্বিবেদী, ত্রিবেদী ও চতুর্বেদী বলা হত। তবে
ত্রিবেদী ও চতুর্বেদী ছিল হাতে গোনা।
একবেদী রা ই ছিল সর্ব্বোচ্চ। আর তাছাড়া কেউ
ই আমাদেরকে বেদ মুখস্ত করতে বলছেনা। আর এ
ধরনের প্রচারকারীদের মধ্যে অনেকেই বলেন
"শ্রীমদভাগবত" পড়ার কথা! এখন আপনারা ই বলুন,
যেখানে যজুর্বেদ এর মন্ত্রসংখ্যা ২০০০ সেখানে
এর বদলে এর কয়েকগুন বড় একটা পুরান কলেবরের
দোহাই দিয়ে পরতে বলাটা কতটুকু যৌক্তিক?
আশাকরি আপনারাই ভাল বুঝবেন।
অনেকেই বলেন বেদপাঠ করার মত পবিত্রতা
কলিযুগের মানুষের নেই। কথাটা যে কি পরিমান
ভিত্তিহীন তা একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়।
প্রথমেই আসি হিন্দু আইনশাস্ত্র "মনুসংহিতা"
তে।
মনুসংহিতা ১/৮৫
"চারযুগে(সত্য,ত্রেতা, দ্বাপর,কলি) দায়িত্বের
রকমভেদ রয়েছে কারন প্রতি যুগে মানুষের আয়ু
হ্রাস পাচ্ছে"
১/৮৬- "সত্য যুগে ধ্যন ত্রেতায় জ্ঞান দ্বাপর এ
যজ্ঞাদি ও কলিতে মোক্ষ।(হরিনাম এর একমাত্র
উপায় এ কথা কোথাও বলা হয়নি। হরিনাম খুব ই
পবিত্র সন্দেহ নেই, কিন্তু শুধু হরিনাম করলেই
মোক্ষ লাভ হয়না)
১/৮৭- কিন্তু মহাবিশ্বের ভারসাম্য রক্ষার্থে
সবসময় ই চার ধরনের পেশা ভাগ করা হয়েছে।
১/৮৮- ব্রাক্ষ্মনরা নিজ স্বার্থত্যগ করে কাজ
করবে,বেদ পরবে এবং তা অপরকে শেখাবে।
১/৮৯ - ক্ষত্রিয়রা বেদ জ্ঞান লাভ করবে ,
লোকরক্ষা ও রাজ্য পরিচালনায় নিযুক্ত থাকবে।
১/৯০ -"বৈশ্যরা বেদ অনুসৃত কার্যঃ ব্যবসা ও
কৃষিকর্মে নিজেদের নিযুক্ত করবে।
১/৯১ - শুদ্ররা বেদ অনুসৃত কাজ করবে এবং
সেবামুলক কর্মকান্ডে নিযুক্ত থাকবে।
তাহলে কি স্পষ্ট হল? প্রতিযুগে কর্তব্য পালটাবে
ঠিক তবে "বেদ" জ্ঞান সর্বযুগেই আবশ্যক। আর
যারা বেদনিসৃত পবিত্রতা ও কর্মের অযোগ্য তার
হরিনাম যা সবচেয়ে পবিত্র তা নেয়ার পবিত্রতা
থাকবে কি করে ? সবচেয়ে খারাপ,অপবিত্র
লোকটিও নিজেকে বেদ নির্ভর এর কর্মকান্ডের
মাধ্যমে জ্ঞানালোকে পরিপুর্ন করতে পারে।
তাই তো সর্ব্ব দ্রষ্টা ও জ্ঞাতা ঋষি গণ কর্তৃক
শ্রোত পবিত্র "বেদ"এর ভাষায় ঘোষণা করা
হয়েছে---
"আমি মানব কল্যাণে যে বাণী তোমাদের
দিয়েছি তা প্রচার কর-
"ব্রাক্ষ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য শুদ্র নারী পুরুষ পাপী
পুন্যাত্মা নির্বিশেষে সকলকে।" যজুর্বেদ ২৬/২।।
!! হে ঈশ্বর, সকলের মঙ্গল করুন !!
ওঁ শান্তি! ওঁ শান্তি! ওঁ শান্তি!