Tuesday, January 17, 2017

বেদ-বিহীন সনাতন ধর্ম্মচর্চ্চা ও
হালে আমাদের অবক্ষ
পুনঃশ্চ------ সত্যদর্শী ঋষিগণের মাধ্যমে
প্রতিভাত হওয়া বেদ জ্ঞান হিন্দু আইনশাস্ত্র
মতে নিত্য এবং অবশ্যপাঠ্য। ইতিহাসের সাক্ষ্য
কয়েক শতক আগেও বেদ জ্ঞান ছিল প্রতিটি
হিন্দুর প্রাত্যাহিক জীবনের সাথে সম্পৃক্ত। যুগে
যুগে পারস্পরিক সময়ের বিবর্তনে, পার্থিব
প্রীতি, ধর্ম্মীয় অজ্ঞানতার করালগ্রাসে,
ঔপনিবেশিকদের ঘোর চক্রান্তে, তথাকথিত
ধর্মপ্রচারক ও ধর্মব্যবসায়ীদের অপপ্রচারে
বিভ্রান্ত হয়ে আমরা আজ মহান বেদ এর
আলোকিত পথ থেকে সরে পথহারা বিভ্রান্ত। এরই
ফল স্বরুপ আমরা আজ ধর্ম্মীয় জাতি হিসেবে এক
ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে। জ্ঞানের অভাবে নিত্য
নৈমিত্তিক অন্য ধর্মালম্বীদের কাছে অপমানের
স্বীকার তো বটেই।
এই কলিযুগে সাধারন মানুষের পক্ষে বেদ পরা
সম্ভব নয় অথবা বেদ পরার পবিত্রতা মানুষের নেই
এরকম একটা কথা অনেকেই প্রচার করে থাকেন।
তারা আরও বলেন যে বেদবিহিত কর্মসমুহ
কলিযুগের মানুষের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। আসলেই
কি তাই?
প্রথমেই দেখি বেদ কি বলেছে-
" পুরো মহাবিশ্ব পাল্টে যেতে পারে, কিন্তু
মহাবিশ্বের সংবিধান "বেদ" সকল কালের জন্য
প্রযোজ্য যা সর্বদা অপরিবর্তিত থাকবে"
ঋগবেদ ১/৯০/২
বেদ সকল যুগ ও কালের জন্য প্রযোজ্য। এর বাণী
কখনো অপ্রাসঙ্গিক হয়না, অচল হয়না।
"বেদ" মন্ত্র কলিযুগে নিষ্ক্রিয়-এ ধরনের প্রলাপ
তাই অনর্থক। সর্বযুগেই তা আধুনিক।
"অংতি সন্তং ন জহাত্যন্তি সন্তং ন পশ্যতি।
দেবস্য পশ্য কাব্যং ন মমার ন জীর্যতি।"
অথর্ববেদ ১০.৮.৩২
অর্থাৎ, মনুষ্য সমীপবর্ত্তী পরমাত্মাকে দেখে না
আবার, তাহাকে ছাড়িতেও পারেনা। পরমাত্মার
বানী বেদকে দেখ, কখনও অচল হয়না, কখনও
অপ্রাসঙ্গিক বা জীর্ন হয়না। মনিষীরা কি
বলেছেন একটু শুনি-
"বেদ হচ্ছে সকল সত্য জ্ঞানের উৎস। মহাকর্ষ
শক্তি যেমন তা আবিস্কারের আগেও বিদ্যমান
ছিল, তেমনি মানবজাতি যদি এটা ভুলেও যায়
তারপরও এটা অপরিবর্তিতভাবে বিদ্যমান
থাকবে।
ঠিক তেমনি বেদ" (স্বামী বিবেকানন্দ, Comp lete
work,vol paper on Hinduism) ও
Dayanand Saraswati - যিনি বেদের আধ্যাত্মিক
অনুবাদক, তিনি বলেছিলেন-
"বেদ হল একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা সকল যুগের জন্য
একেবারে সুবিধা জনক ভাবে প্রযোজ্য।"
যেখানে বেদ বলছে এটা সব যুগের জন্য প্রযোজ্য
সেখানে কতিপয় জ্ঞানপাপীর এহেন আচরন
সন্দেহজনক। এবার আমরা আসি বাস্তবিক যুক্তি
প্রয়োগে। ঈশ্বর হলেন ত্রিকালজ্ঞ অর্থাৎ- যিনি
অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সব জানেন। তাহলে
তার পক্ষে কেন সম্ভব হবেনা এমন কোন গ্রন্থ
প্রেরন করা যা সর্বযুগের মানুষের জন্য প্রযোজ্য?
তাছাড়া এসব অবান্তর যুক্তি যারা পেশ করেন
তারা নিজেরা কি কখনও বেদ পড়েছেন তাদের
কথার সত্যতা যাচাই এর জন্য? তাদের প্রতি
আহবান জানাচ্ছি, - পারলে বেদের এমন কোন
নিয়ম দেখান যা বর্তমান যুগের জন্য প্রযোজ্য নয়।
বরং এটা কলি যুগে আরও বেশি প্রয়োজন কারন
বেদের কর্মকান্ড প্রতিদিনের নিত্যকর্মাদি,
দর্শন, বিজ্ঞান, আইন, অর্থনীতি ও রাজনীতি
ব্যখ্যা করেছে যা সত্য যুগের তুলনায় কলি যুগেই
বেশী দরকার। আরেকটি প্রশ্ন করেন তারা -
বেদের বৃহৎ কলেবর নিয়ে যেটা সম্পূর্ন
ভিত্তিহীন। কারন বৈদিক যুগেও এমন খুব কম
লোকই ছিলেন যারা সবকটা বেদ জানতেন। কেউ
বা একটা, কেউ বা দুটা, কেউ তিনটা, কেউবা
চারটাই জানতেন - যাদের যথাক্রমে একবেদী,
দ্বিবেদী, ত্রিবেদী ও চতুর্বেদী বলা হত। তবে
ত্রিবেদী ও চতুর্বেদী ছিল হাতে গোনা।
একবেদী রা ই ছিল সর্ব্বোচ্চ। আর তাছাড়া কেউ
ই আমাদেরকে বেদ মুখস্ত করতে বলছেনা। আর এ
ধরনের প্রচারকারীদের মধ্যে অনেকেই বলেন
"শ্রীমদভাগবত" পড়ার কথা! এখন আপনারা ই বলুন,
যেখানে যজুর্বেদ এর মন্ত্রসংখ্যা ২০০০ সেখানে
এর বদলে এর কয়েকগুন বড় একটা পুরান কলেবরের
দোহাই দিয়ে পরতে বলাটা কতটুকু যৌক্তিক?
আশাকরি আপনারাই ভাল বুঝবেন।
অনেকেই বলেন বেদপাঠ করার মত পবিত্রতা
কলিযুগের মানুষের নেই। কথাটা যে কি পরিমান
ভিত্তিহীন তা একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়।
প্রথমেই আসি হিন্দু আইনশাস্ত্র "মনুসংহিতা"
তে।
মনুসংহিতা ১/৮৫
"চারযুগে(সত্য,ত্রেতা, দ্বাপর,কলি) দায়িত্বের
রকমভেদ রয়েছে কারন প্রতি যুগে মানুষের আয়ু
হ্রাস পাচ্ছে"
১/৮৬- "সত্য যুগে ধ্যন ত্রেতায় জ্ঞান দ্বাপর এ
যজ্ঞাদি ও কলিতে মোক্ষ।(হরিনাম এর একমাত্র
উপায় এ কথা কোথাও বলা হয়নি। হরিনাম খুব ই
পবিত্র সন্দেহ নেই, কিন্তু শুধু হরিনাম করলেই
মোক্ষ লাভ হয়না)
১/৮৭- কিন্তু মহাবিশ্বের ভারসাম্য রক্ষার্থে
সবসময় ই চার ধরনের পেশা ভাগ করা হয়েছে।
১/৮৮- ব্রাক্ষ্মনরা নিজ স্বার্থত্যগ করে কাজ
করবে,বেদ পরবে এবং তা অপরকে শেখাবে।
১/৮৯ - ক্ষত্রিয়রা বেদ জ্ঞান লাভ করবে ,
লোকরক্ষা ও রাজ্য পরিচালনায় নিযুক্ত থাকবে।
১/৯০ -"বৈশ্যরা বেদ অনুসৃত কার্যঃ ব্যবসা ও
কৃষিকর্মে নিজেদের নিযুক্ত করবে।
১/৯১ - শুদ্ররা বেদ অনুসৃত কাজ করবে এবং
সেবামুলক কর্মকান্ডে নিযুক্ত থাকবে।
তাহলে কি স্পষ্ট হল? প্রতিযুগে কর্তব্য পালটাবে
ঠিক তবে "বেদ" জ্ঞান সর্বযুগেই আবশ্যক। আর
যারা বেদনিসৃত পবিত্রতা ও কর্মের অযোগ্য তার
হরিনাম যা সবচেয়ে পবিত্র তা নেয়ার পবিত্রতা
থাকবে কি করে ? সবচেয়ে খারাপ,অপবিত্র
লোকটিও নিজেকে বেদ নির্ভর এর কর্মকান্ডের
মাধ্যমে জ্ঞানালোকে পরিপুর্ন করতে পারে।
তাই তো সর্ব্ব দ্রষ্টা ও জ্ঞাতা ঋষি গণ কর্তৃক
শ্রোত পবিত্র "বেদ"এর ভাষায় ঘোষণা করা
হয়েছে---
"আমি মানব কল্যাণে যে বাণী তোমাদের
দিয়েছি তা প্রচার কর-
"ব্রাক্ষ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য শুদ্র নারী পুরুষ পাপী
পুন্যাত্মা নির্বিশেষে সকলকে।" যজুর্বেদ ২৬/২।।

!! হে ঈশ্বর, সকলের মঙ্গল করুন !!

ওঁ শান্তি! ওঁ শান্তি! ওঁ শান্তি!
                                             

চার বর্ণের অশৌচ ব্যবস্থা নিয়ে শাস্ত্রীয় রেফারেন্স

চার বর্ণেরঅশৌচ ব্যবস্থাঃ
  
চার বর্ণের অশৌচ ব্যবস্থা
চার বর্ণের অশৌচ ব্যবস্থা  


বর্তমান সময়ে “সর্ববর্ণে দশাহ অশৌচ” পালন নিয়ে একটা বিতর্ক সব জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে ।অশৌচ কাল সর্ববর্ণের জন্য দশদিন না যুগ যুগ ধরে বর্ণ অনুসারে দশ,বার,পনের ও ত্রিশ দিন হবে তা নিয়ে আমাদের অঞ্চলে বেশ কয়েকটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে ।কোন কোন পন্ডিত অভিমত দিচ্ছেন যে, সর্ববর্ণে দশাহ অশৌচই শাস্ত্র সিদ্ধান্ত ,যদিও অধিকাংশ পন্ডিত তার বিরোধিতা করছেন। এতে সাধারন মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।সমাজ দর্পণ পত্রিকা কয়েক বছর ধরে জোরালোভাবে এ সম্পর্কে নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছে এবং এটা যে শাস্ত্রসম্মত তা প্রমাণের জন্য কিছু শ্লোক উদ্ধৃত করে প্রবন্ধও প্রকাশ করেছে।আমি সমাজ দর্পণের একজন নিয়মিত পাঠক।বর্তমান সময়ে সনাতন কৃষ্টির প্রচারে সমাজ দর্পণ বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে।কিন্ত “সর্ববর্ণে দশাহ অশৌচ পালন” বিষয়ে সমাজ দর্পণের প্রচারের বিষয়ে আমার মতামত ব্যক্ত করতেই এই লেখা।আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে এ বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করছি এবং অশৌচ বিষয়ে সনাতন শাস্ত্রের অভিমত প্রকাশের জন্য এ প্রবন্ধ লিখছি।
সকলের জন্য ১০ দিনেই অশৌচ বিধান এবং ১১ দিনে শ্রাদ্ধ করার বিধান দিতে গিয়ে সমাজ দর্পণে সর্বমোট তিনটি শ্লোক উদ্ধৃত করা হয়েছে।সেগুলো হলোঃ
১)মনুসংহিতার উদ্ধৃতিঃ দশাহং শাবমাশৌচং সপিন্ডেষু বিধীয়তে |
অর্বাক সঞ্চয়নাদস্থাং ত্রহেমেকাহমেব চ ||(মনুসংহিতা ৫|৫৯)
অর্থঃ সপিন্ডের মৃত্যু হলে দশাহ(দশদিন)অশৌচ হবে এবং গুণের তারতম্য অনুসারে চারদিন অথবা তিনদিন অথবা এক অহোরাত্র মাত্র অশৌচ বিহিত।
২)গরুড় পুরাণের উদ্ধৃতিঃ একাদশায়ে প্রেতস্য যস্যোৎ সৃজ্যোত নো বৃষ |
প্রেতত্বং সুস্থিতং তস্য দত্তৈ শ্রাদ্ধশতৈরপি ||(গরুড় পুরাণ,উত্তরখন্ড ৬|৪০)
অর্থঃ যে প্রতের উদ্দেশ্যে একাদশাহে বৃষোৎসর্গ না হয় তাহার উদ্দেশ্যে শত শত শ্রাদ্ধ করলেও তার প্রতত্ব বিমুক্ত হয় না।
৩)বরাহ পুরাণের উদ্ধৃতিঃ ‘দশাহং শাবমাশৌচং সপিন্ডেষু বিধীয়তে
জননেহপ্যেমেব সান্নিপুনং শুদ্ধি মিচ্ছাতাম ||(বরাহ পুরাণ ১৮৮|১-৭)
অর্থঃ ‘একাদশ দিনে যথাবিধি একোদ্দিষ্ট বিধিক পিন্ড দান করিবে।মনুষ্যগণের মধ্যে বিপ্র,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য বা শূদ্র এই চারিবর্ণের একোদ্দিষ্ট বিধি একরূপ।
পাঠক একটু খেয়াল করে দেখুন উপরোক্ত শ্লোকগুলির কোথাও স্পষ্ট এবং সরাসরি বলা নেই যে, “সর্ববর্ণে দশাহ অশৌচ হইবে”!!!!!
আরেকটা মজার ব্যপার হলো বরাহ পুরাণের যে শ্লোকটি(১৮৮|১-৭) দেয়া হয়েছে তার সংস্কৃত শ্লোকের সাথে বাংলা অর্থের(যা দেয়া হয়েছে) মিল নাই এবং ঐরূপ কোন শ্লোক বরাহ পুরাণে নেই!! তবে যে বাংলা অর্থ দেয়া হয়েছে তা বরাহ পুরাণে আছে এভাবেঃ
একাদশে চ দিবসে একোদ্দষ্ট যথাবিধি
………………………………………………..
একোদ্দিষ্টং মনুষ্যাণাং চাতুর্বর্ণস্য মাধবি বরাহ পুরাণ (১৮৮|৫,৭)
দেখা গেল একটি শ্লোকের প্রথম লাইন এবং তার পরের আরেকটি শ্লোকের আরেক লাইন নিয়ে সমাজ দর্পণে প্রকাশিত হয়েছে।কাজেই এটার বিষয় পাঠককুল বিবেচনা করুন।
এবার দেখা যাক অশৌচ কাল বিষয়ে সনাতন শাস্ত্রে স্পষ্ট এবং সরাসরিভাবে কি বলা হয়েছেঃ
|| মনু সংহিতার বিধান ||
শুধ্যেদ্বিপ্রো দশাহেন দ্বাদশাহেন ভূমিপঃ |
বৈশ্যঃ পঞ্চদশাহেন শূদ্রো মাসেন শুধ্যতি || (মনুসংহিতা ৫|৮৩)
অর্থঃ ব্রাহ্মণ দশদিন,ক্ষত্রিয় দ্বাদশ দিন,বৈশ্য পঞ্চদশদিন এবং শূদ্রর ত্রিশ দিনে শুদ্ধ হয়।
|| অত্রি সংহিতা ||
ব্রাহ্মণো দশরাত্রেণ দ্বাদশাহেন ভূমিপঃ |
বৈশ্যঃ পঞ্চদশাহেন শূদ্রো মাসেন শুধ্যতি || (অত্রি সংহিতা,৮৫ নং শ্লোক)
অর্থঃ ব্রাহ্মণ দশদিনের পর,ক্ষত্রিয় দ্বাদশ দিনের পর,বৈশ্য পঞ্চদশ দিনের পর ও শূদ্র একমাসের পর শুদ্ধ হয়।
|| বিষ্ণু সংহিতা ||
ব্রাহ্মণস্য সপিন্ডানাং জননমরণয়োর্দ্দশাহমাশৌচম ||
দ্বাদশাহং রাজন্যস্য || মাস শূদ্রস্য || (বিষ্ণু সংহিতা ২২|১-৩)
অর্থঃ সপিন্ডদিগের জন্ম মরণে ব্রাহ্মণের দশদিন,ক্ষত্রিয়ের দ্বাদশাহ,বৈশ্যের পঞ্চদশাহ এবং শূদ্রের একমাস অশৌচ কাল।
|| যাজ্ঞবাল্ক্য সংহিতা ||
ক্ষত্রস্য দ্বাদশাহানি বিশঃ পষ্ণদশৈব তু |
ত্রিংশদ্দিনানি শূদ্রস্য তদর্দ্ধং ন্যায়বর্ত্তিনঃ || (যাজ্ঞবাল্ক্য সংহিতা ৩|২২)
অর্থঃ ক্ষত্রিয়ের পূর্ণাশৌচ বার দিন,বৈশ্যের পনের দিন এবং শূদ্রের একমাস।
|| উশনঃ সংহিতা ||
শুধ্যেদ্বিপ্রো দশাহেন দ্বাদশাহেন ভূপতিঃ |
বৈশ্য পঞ্চদশাহেন শূদ্রো মাসেন শুধ্যতি || (উশনঃ সংহিতা ৬|৩৪)
অর্থঃ ব্রাহ্মণ দশদিন,ক্ষত্রিয় দ্বাদশ দিন,বৈশ্য পঞ্চদশদিন এবং শূদ্রর ত্রিশ দিনে শুদ্ধ হয়।
|| অঙ্গিরা সংহিতা ||
দশাহাচ্ছুধ্যতে বিপ্রো দ্বাদশাহেন ভূমিপঃ |
পাক্ষিকং বৈশ্য এবাহ শূদ্র মাসেন শুধ্যতি || (অঙ্গিরা সংহিতা ৫১ নং শ্লোক)
অর্থঃ ব্রাহ্মণ দশদিন,ক্ষত্রিয় দ্বাদশ দিন,বৈশ্য পঞ্চদশদিন এবং শূদ্রর ত্রিশ দিনে শুদ্ধ হয়।
|| সংবর্ত্ত সংহিতা ||
বিপ্রো দশহমাসীত দানধ্যায়নবর্জ্জিতঃ |
ক্ষত্রিয় দ্বাদশাহেন বৈশ্য পঞ্চদশৈব তু ||
শূদ্রঃ শুধ্যতি মাসেন সাংবর্ত্তবচং যথা || (সংবর্ত্ত সংহিতা ৩৮ নং শ্লোক)
অর্থঃ জনন বা মরণে ব্রাহ্মণ দান অধ্যয়ণ বর্জ্জনপূর্বক,ক্ষত্রিয় দ্বাদশ দিন,বৈশ্য পঞ্চদশদিন এবং শূদ্রর ত্রিশ দিনে শুদ্ধ হইবে;ইহাই সংবর্ত্ত মুনির অনুজ্ঞা জানিবে।
|| পরাশর সংহিতা ||
জাতো বিপ্রো দশাহেন দ্বাদশাহেন ভূমিপঃ |
বৈশ্যঃ পঞ্চদশাহেন শূদ্রো মাসেন শুধ্যতি || (পরাশর সংহিতা ৩|৪)
অর্থঃ জনন বা মরণ হইলে ব্রাহ্মণ দশদিন,ক্ষত্রিয় দ্বাদশ দিন,বৈশ্য পঞ্চদশদিন এবং শূদ্রর ত্রিশ দিনে শুদ্ধ হয়।
|| শঙ্খ সংহিতা ||
সপিন্ডতা তু পুরুষে সপ্তমে বিনিবর্ত্ততে |
জননে মরণে বিপ্রো দশাহেন বিশুধ্যতি ||
ক্ষত্রিয় দ্বাদশাহেন বৈশ্য পক্ষেণ শুদ্ধতি |
মাসেন তু তথা শূদ্রঃ শুদ্ধিমাপ্নোতি নান্তরা || (শঙ্খ সংহিতা ১৫|২-৩)
অর্থঃ সপিন্ড জ্ঞাতির জননে বা মরণে ব্রাহ্মণ দশাহ অশৌচ ভোগ করিয়া শুদ্ধ হয়;ক্ষত্রিয় দ্বাদশাহ;বৈশ্য পঞ্চদশাহ এবং শূদ্র একমাস অশৌচ ভোগ করিয়া শুদ্ধ হয়।
|| দক্ষ সংহিতা ||
জাতিবিপ্রো দশাহেন দ্বাদশাহেন ভূমিপঃ |
বৈশ্যঃ পঞ্চদশাহেন শূদ্রো মাসেন শুধ্যতি || (দক্ষ সংহিতা ৬|৭)
অর্থঃ জনন বা মরণ হইলে ব্রাহ্মণ দশদিন,ক্ষত্রিয় দ্বাদশ দিন,বৈশ্য পঞ্চদশদিন এবং শূদ্রর ত্রিশ দিনে শুদ্ধ হয়।
|| গৌতম সংহিতা ||
……… ক্ষত্রিয়স্য দ্বাদশ রাত্রং বৈশ্যস্যার্দ্ধমাসমেকং শূদ্রস্য ||গৌতম সংহিতা ১৪ অধ্যায়)
অর্থঃ ক্ষত্রিয়ের দ্বাদশ রাত্র;বৈশ্যের পঞ্চদশ এবং শূদ্রের একমাস অশৌচ হয়।
|| কূর্ম্ম পুরাণ ||
শুধ্যেদ্বিপ্রো দশাহেন দ্বাদশাহেন ভূমিপঃ |
বৈশ্যঃ পঞ্চদশাহেন শূদ্রো মাসেন শুধ্যতি || (কূর্ম্ম পুরাণ,উপরিভাগ ২৩|৩৮)
অর্থঃ ব্রাহ্মণ দশদিন,ক্ষত্রিয় দ্বাদশ দিন,বৈশ্য পঞ্চদশদিন এবং শূদ্রর ত্রিশ দিনে শুদ্ধ হয়।
|| লিঙ্গ পুরাণ ||
অনন্তর ব্রাহ্মণের দশাহে শুদ্ধি হয়………….।ক্ষত্রিয়ের দ্বাদশ দিন সম্পূর্ণাশৌচ……….
………।………বৈশ্যের পঞ্চদশ দিনে ও শূদ্রের একমাস সম্পূর্ণাশৌচ।(লিঙ্গ পুরাণ,পূর্বভাগ ৮৯ অধ্যায়)
|| মার্কন্ডেয় পুরাণ ||
দশাহং ব্রাহ্মণস্তিষ্ঠেদ্দানহোমাদিবর্জ্জিতঃ |
ক্ষত্রিয় দ্বাদশাহঞ্চ বৈশ্য মাসার্দ্ধমেব চ ||
শূদ্রস্ত্ত মাসামাসীত নিজকর্ম্মবিবর্জ্জিত |
ততঃ পরং নিজ কর্ম্ম কুর্য্যুঃ সর্ব্বে যথেস্পিতম ||(মার্কন্ডেয় পুরাণ ৩৫|৪০,৪১)
অর্থঃ জননাশৌচ ও মরণাশৌচে বিপ্রগণ দশদিন যাবৎ দান হোমাদি নিজ কর্ম্ম-বর্জ্জিত অবস্থিতি করিবেন এবং ক্ষত্রিয় দ্বাদশ দিন,বৈশ্যেরা পঞ্চদশ দিন ও শূদ্রগণ একমাস যাবৎ ঐ রূপ আচরণে থাকিবে।তৎপরে সকলেই শাস্ত্রোক্ত বিধানে স্ব স্ব কর্ম্মের অনুষ্ঠান করিবে।
## এ সম্পর্কে আরো বলা আছেঃ
দশদ্বাদশমাসার্দ্ধ-মাসসংখৈর্দিনৈগতৈঃ |
স্বাঃ স্বাঃ কর্ম্মক্রিয়াঃ কুর্য্যুঃ সর্বে বর্ণা যথাবিধি || (মার্কন্ডেয় পুরাণ ৩৫|৫১)
অর্থঃ ব্রাহ্মণাদি যাবতীয় বর্ণই বিধান অনুসারে দশদিন,দ্বাদশদিন,পক্ষ ও একমাস অবলম্বন পূর্বক নিজ নিজ বর্ণ বিহিত কার্য্যাদি সমাধা করিবে।
|| বিষ্ণু পুরাণ ||


বিপ্রস্যৈতদ্ দ্বাদশাহং রাজন্যস্যপ্যশৌচকম্ |
অর্দ্ধমাসশ্চ বৈশ্যস্য মাসঃ শূদ্রস্য শুদ্ধয়ে || (বিষ্ণু পুরাণ,তৃতীয়াংশ ১৩|১৯)
অর্থঃ ব্রাহ্মণের অশৌচ দশদিন,ক্ষত্রিয়ের দ্বাদশ,বৈশ্যের পঞ্চদশ এবং শূদ্রের অশৌচ একমাস।
পাঠককুল এবার আসুন গরুড় পুরাণে।দেখা যাক গরুড় পুরাণ কি বলে।
|| গরুড় পুরাণ ||
সোজাভাবে বলছেঃ শুচির্বিপ্রো দশাহেন ক্ষত্রিয় দ্বাদশাহত |
বৈশ্যঃ পঞ্চদশাহেন শূদ্রো মাসেন শুধ্যতি || (গরুড় পুরাণ,পূর্ব্বখন্ড ২২৬|৩৮)
অর্থঃ জননাশৌচ ও মরণাশৌচ উপস্থিত হইলে ব্রাহ্মণ দশদিন,ক্ষত্রিয় দ্বাদশ দিন,বৈশ্য পঞ্চদশদিন এবং শূদ্রর ত্রিশ দিনে শুদ্ধ হয়।
আবার বলছেঃ
জাতিবিপ্রো দশহাত্তু ক্ষত্রো দ্বাদশকাদ্ দিনাৎ |
পঞ্চদশাহাদ্বৈশ্যস্ত্তু শূদ্র মাসেন শুধ্যতি || (গরুড় পুরাণ,পূর্ব্বখন্ড ১০৭|১১)
অর্থঃ যিনি জাতি মাত্রে বিপ্র তিনি দশদিন,যিনি জাতি মাত্রে ক্ষত্রিয় তিনি দ্বাদশ,যিনি জাতি মাত্রে বৈশ্য পঞ্চদশ এবং যিনি জাতি মাত্রে শূদ্র তিনি একমাসে শুদ্ধ হন।
আরো দেখুনঃ
দশাহং প্রাহুরাশৌচং সপিন্ডেষু বিপশ্চিতঃ |
মৃতেষু বাথ জাতেষু ব্রাহ্মণানাং দ্বিজোত্তমা ||
ক্ষত্রিয়ো দ্বাদশাহেন দশভিঃ পঞ্চভভির্বিশঃ |
শুধ্যেন্মাসেন বৈ শূদ্রো যতীনাং নাস্তি পাতকম্ || (গরুড় পুরাণ,পূর্ব্বখন্ড ৫০|৮১,৮৩)
অর্থঃ ব্রাহ্মণের জন্ম-মরণে জ্ঞাতিবর্গের দশাহ অশৌচ হয়।প্রাচীন পন্ডিতগণ ইহা বলিয়া থাকেন।ক্ষত্রিয়ের জন্ম-মরণে জ্ঞাতিবর্গের দ্বাদশাহে;বৈশ্যের পঞ্চদশাহ ও শূদ্রের একমাস অশৌচ হয়।
|| পদ্ম পুরাণ ||
দশাহং শাবমাশৌচং ব্রাহ্মণস্য বিধিয়তে |
ক্ষত্রিয়েষু দশ দ্বে চ পক্ষং বৈশ্যেষু চৈব হি ||
শূদ্রেষু মাসামাশৌচং সপিন্ডেষু বিধিয়তে || (পদ্ম পুরাণ,সৃষ্টি খন্ড ১০|২,৩)
অর্থঃ শাবাশৌচ ব্রাহ্মণের অশৌচ দশদিন;ক্ষত্রিয়ের দ্বাদশদিন;বৈশ্যের পঞ্চদশ এবং শূদ্রের একমাস হইবে।
|| ব্রহ্ম পুরাণ ||
দশাহং ব্রাহ্মণস্তিষ্ঠেদ্দানহোমবিবর্জ্জিতঃ |
ক্ষত্রিয়ো দ্বাদশাহঞ্চ বৈশ্য মাসার্দ্ধমেব চ ||
শূদ্রশ্চ মাসামাসীত নিজকর্ম্মবিবর্জ্জিত || (ব্রহ্ম পুরাণ ২২১|১৪৭,১৪৮)
অর্থঃ জন্ম ও মরণ উপলক্ষে ব্রাহ্মণ দশদিন;ক্ষত্রিয় দ্বাদশদিন;বৈশ্য মাসার্দ্ধ যাবৎ দান হোম বর্জ্জনপূর্ব্বক থাকিবে।শূদ্র একমাস নিজ কর্তব্য বর্জ্জন করিবে।
|| অগ্নি পুরাণ ||
দশা হাচ্ছদ্ধ্যতে বিপ্রো দ্বাদশাহেন ভূমিপঃ |
বৈশ্যঃ পঞ্চদশাহেন শূদ্রো মাসেন শুধ্যতি || ( অগ্নি পুরাণ ১৫৮|১২ )
এরকম আরো বহু শ্লোক উদ্ধৃত করে অশৌচকাল সম্পর্কে ঋষিগণের কি অভিমত তা সুস্পষ্টভাবে দেখানো সম্ভব।পূর্বেই উল্লেখ করেছি সনাতন শাস্ত্রের কোথাও বলা নেই “সর্ববর্ণে দশাহ অশৌচ হইবে”।সমাজ দর্পণে যে ৩ টি শ্লোক উদ্ধৃত করা হয়েছে তাতেও সরাসরি এমন কথা বলা হয় নাই।এবং আমি দেখিয়েছি মনু সংহিতায় এবং গরুড় পুরাণে কিভাবে অশৌচ বিধি বলা হয়েছে।কাজেই বর্ণভেদে অশৌচকালের পার্থক্য হয় এটাই শাস্ত্র সিদ্ধান্ত।আর আমরা বিশ্বাস করি ঋষিপ্রণিত বিধান মানাই সর্বৈব বিধেয়।আর তা না করে কেউ নিজেদের খেয়াল মতো চললে তা অনুসরণ না করাই শ্রেয়।লেখার শিরোনামটার জবাব এবার আপনারাই বিচার করুন।ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন।                
                         

Saturday, January 14, 2017

দশসংস্কার কি এবং কেনো করা হয়।

আসুন দশসংস্কার নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক,মনুসংহিতা, যাজ্ঞবাল্ক সংহিতা পরাশর সংহিতা, ইত্যাদি প্রভূতি স্মৃতিশাস্ত্রেদশকর্মের অনেক বিধি-বিধান বর্ণিত রয়েছে। প্রথমে গর্ভাধান নিয়ে আলোচনা করি,•গর্ভাধান হল যে,পিতা-মাতার দেহে ও মনে যেসব দোষ- গুণ থাকে সেগুলো সন্তানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়। এটা দেখে আর্য- ঋষিগণ গর্ভাধান বিধি প্রবর্তন করেছেন। শুভলগ্নে সন্তানের জন্মদানের জন্য যে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান তাকে গর্ভাধান।•পুংসবন-পুত্র সন্তানের কামনায় যে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান করা হয়, তাকে পুংসবন বলে।•সীমন্তোন্নয়ন-গর্ভাবস্থার অন্যতম সংস্কার সীমন্তোন্নয়ন। গর্ভধারনের পর চতুর্থ, ষষ্ঠ বা অষ্টম মাসে এই সংস্কার করা হয়।•জাতকর্ম-সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্র এ সংস্কার করতে হয়।এ সংস্কার কার্য হল-পিতা প্রথমত পুত্রকে স্বর্ণ দিয়ে পুত্রের মুখে মধু ও ঘৃত দেন এবং তার সাথে মন্ত্রোচ্চারণ করেন।•নামকরণ-সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার দশম,একাদশ, দ্বাদশ বা শততম দিবসে নামকরণ করতে হয়।শৈশব সংস্কারের প্রথম সংস্কার সন্তানের নাম রাখার অনুষ্ঠানই নামকরণ সংস্কার।•

অন্নপ্রাশন-পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে যষ্ঠ অষ্টম মাসে এবং কন্যা সন্তানের জন্ম থেকে পঞ্চম বা সপ্তম মাসে প্রথম ভোজন করার জন্য যে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান করা হয় তাকে অন্নপ্রাশন বলে।•চূড়াকরণ-গর্ভাবস্থায় সন্তানের মস্তকে যে কেশ উৎপন্ন হয়, তা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানসহ মুণ্ডনের নাম চূড়াকরণ।•উপনয়ন-উপনয়ণ সংস্কারে বিদ্যা শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীকে প্রথম গুরুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ‘উপনয়ন’ শব্দটির মানেই নিকটে নিয়ে যাওয়া। প্রচলিত একটি অর্থে উপনয়ন বলতে বোঝায় যজ্ঞপৌত বা পৈতা ধারণ।•সমাবর্তন-অধ্যায়ন শেষে গুরু কর্তৃক শিষ্যকে গৃহে ফেরার অনুমতি প্রদান উৎসবকে সমাবর্তন বলে। উপনয়ন শেষে গুরুগৃহে বাস করাই ছিল রীতি। সেখানে পড়াশুনা শেষ করে গুরুর অনুমতি নিয়ে গৃহে প্রত্যাগমন করতে হত। বর্তমানকালে সাধারণত গুরুগৃহে থেকে বিদ্যা বিদ্যাশিক্ষার প্রচলন নেই। সে কারণে এ সংস্কারটি এখন পালিত হয় না। তবে বর্তমানে ‘সমাবর্তন’ নামটি আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপত্র বিতরণ উৎসব এখন সমাবর্তন উৎসব নামে উদযাপিত হয়।যারা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের উপাধি পত্র প্রদান উৎসবই পূর্বকালের গুরুগৃহ ত্যাগের উৎসব বলে মনে করা যেতে পারে।•বিবাহ-যৌবন অবস্থার সংস্কার বিবাহ সংস্কার বিবাহ। বিবাহের দ্বারা পুরুষ সন্তানের পিতা হন। নারী হন মাতা । বিবাহের মাধ্যমে পিতা, মাতা, পুত্র কন্যা প্রভূতি নিয়ে গড়ে ওঠে একটি পরিবার। পরিবারে সকলে মিলেমিশে সুখ-দুঃখ ভাগ ও ভোগ করে জীবন-যাপন করে। বিবাহে যেমন কতকগুলো শাস্ত্রীয়বিধি বিধান পালিত হয়, তেমনি পালিত হয় কতগুলো লৌকিক ও স্থানীয় স্ত্রী- আচার। বিবাহ উচ্চারণ করা হয় :-যদেতৎ হৃদয়ং তব তদস্তু হৃদয়ং মম।যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব।।অর্থাৎ তোমার হৃদয় আমার হোক আমার হৃদয় তোমার হোক। এ মন্ত্রের মধ্য দিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে গভীর ঐক্য গড়ে ওঠে। মনুসিংহতায় সেকালের অবস্থা অনুসারে ৮ রকমের বিবাহ- পদ্ধতির বর্ণনা আছে। যথা- ব্রাহ্ম, দৈব্য, আর্ষ, প্রজাপাত্য, আসুর, গান্ধর্ব, রাক্ষস ও পৈশাচ।কন্যাকে বিশেষ বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদন করে স্বর্ণ অলংকার ইত্যাদি দ্বারা সজ্জিত করে বিদ্বান ও সদাচর সম্পন্ন বরকে স্বয়ং আমন্ত্রন করে যে কন্যা দান করা হয় তাকে ব্রাহ্মবিবাহ বলে। “তোমরা উভয়ে সুখে গার্হস্থ্য ধর্মের আচরণ কর”- এই আর্শীবাদ করে যথাবিধি অলংকার ইত্যাদি দ্বারা অর্চনাপূর্বক বরকে যে কন্যা দান করা হয় তাকে প্রজাপত্য বিবাহ বলে।বিবাহের নানা প্রকার পদ্ধতি সেকালের সামাজিক প্রথাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। বিবাহ- পদ্ধতি সমূহের মধ্যে ব্রাহ্ম বিবাহ পদ্ধতিটিই শ্রেষ্ঠ।


                                     ইতি    
                            মানিক চক্রবর্তী
          মোবাইল নং ০১৭৩৫৬৫১৫৯৭..

Ekadoshi

লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

  চন্দ্রগঞ্জ  প্রতিনিধি : বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন...

চারবর্ণের অশৌচ ব্যবস্তা