Wednesday, October 28, 2020

ত্রিপুষ্কর যোগ কী, কেনই বা হয় ত্রিপুষ্কর যোগ হয়

 আজকে আমরা জানবো ত্রিপুষ্কর যোগ কী, কেনই বা হয় ত্রিপুষ্কর যোগ. উক্ত যোগে কোনো ব্যাক্তির মৃত্যু হলে 1ম পাদ. 2য় পাদ. ও 3য় পাদে শান্তির বিধান কী? ব্যাখ্যা: কোনো ব্যাক্তির মৃত্যু যদি শনিবার, বা মঙ্গলবারে,  দ্বিতীয়া, সপ্তমী তিথি, দ্বাদশী তিথি,এবং কীর্তিকা পুনর্বসু, উত্তর ফাল্গুনী, বিশাখা উত্তরাষাঢ়া ও পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র যুক্ত হইলে ত্রিপুষ্কর যোগ হয়.  "1"-বার ও তিথিতে এক+এক পাদ করিয়া দুইপাদ,এবং নক্ষত্রের দুইপাদ ধরাহয়,  এই চারিপাদ যোগে চতুষ্পাদ পুষ্কর হয়!আবার ইহাদের মধ্যে ""2."""বারের এক পাদ+নক্ষত্রের দুই পাদ ইহার সম্মিলিত যোগে= ত্রিপাদ পুষ্কর হয়, বা 3."" তিথীর একপাদ+নক্ষত্রের দুই পাদ= ত্রিপাদ পুষ্কর হয়. 4.এছাড়াও বার ও তিথীর এক পাদ+এক পাদ=দুই পাদ+নক্ষত্রের দুই পাদ=চার পাদ পুষ্কর হয়!5.আবার শুধু বার দোষ লাগলে বা  নক্ষত্র দোষের যেকোনো একটি লাগলে=এক পাদ দোষহয়, 6.আবার বার ও তিথীর যে কোনো দুইটি যোগের সম্মিলিত দোষ লাগলে তাহাকে দ্বিপাদ দোষ বলা হয়. 7.আবার শুধু যদি নক্ষত্রের দোষ লাগলে দ্বিপাদ দোষ বলা হয়.এমতাবস্থায় বরাহ সংহিতোক্ত পুষ্করশান্তি প্রয়োগ অনুযায়ী গ্রহশান্তি ওপুষ্করশান্তি অবশ্যই কর্তব্য. ইহা পূর্ণচন্দ্র পঞ্জিকায় লিখিত বিধি গ্রহণ যোগ্য হইতে পারে.একপাদ দোষে ও দ্বিপাদ দোষে. ও ত্রিপাদ দোষে বা চতুষ্পাদ দোষে. সর্ব্বাগ্রে পুস্করাধিপতি দেবতাগণের যথা-- 1.যম.2ধর্ম্ম.3চিত্রগুপ্ত 4.পুষ্কর পুরুষের পূজা. এবং নবগ্রহ মন্ডল প্রস্তুতপূর্ব্বক তাহার উপর গ্রহরূপী জনার্দ্দন অর্থাৎ বিষ্ণুকে স্থাপন পূর্বক শোড়শ উপচারে পূজা অবশ্যই করা উচিত. এছাড়াও তদঙ্গিভুত. """"1""""একপাদ দোষের বিধান"""অষ্টোত্তর শতসংখক সচন্দন তুলসীপত্রদান. ও শ্রীবিষ্ণুর পূজা. 108 দুর্গানাম জপ. ও 108 মধুসূদননাম জপ. একটি মৃত্তিকা নির্মিত পার্থিবশিব পূজা. একবৃত্তি শ্রীবিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ. চন্ডীরপূজা ও একবৃত্তি দেবীমাহাত্ত্ব পাঠ.  গ্রহপূজা, স্তব, স্তোত্র, পাঠান্তে স্ব স্ব সমিধ দ্বারা প্রত্যেকের  হোম করণীয়.*এবার দ্বিপাদ দোষের শান্তির বিধি."""""""উপরিউক্ত দেবতাদের পূজার সহিত. অষ্টোত্তর  শতসংখক সচন্দন তুলসীপত্রদ্বারা শ্রীবিষ্ণুরপূজা, 1000 দূর্গানাম জপ ও 1000 মধুসূদন নামজপ, চারমূর্তি মৃত্তিকানির্ম্মিত পার্থিব শিবেরপূজা,চন্ডীর পূজা ও একরূপ দেবীমাহাত্ব পাঠ, যথাশক্তি কাঞ্চন দান, নবগ্রহের পূজা. ও স্তব স্তোত্র পাঠান্তে স্ব স্ব সমিধ দ্বারা মন্ত্রে হোমকরনীয়.*এবার ত্রিপাদ ও চতুষ্পাদ দোষের শান্তির বিধান বলি তেছি *উপরি উক্ত


 পুস্করাধিপতিদের পূজার সহিত, অষ্টোত্তর সহস্র সংখক সচন্দন তুলসীপত্র দ্বারা শ্রীবিষ্ণুর পূজা ও বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ, 10হাজার সংখক দূর্গানাম জপ ও 10 হাজার সংখক মধুসূদন নামজপ,দ্বাদশটি মৃত্তিকা নির্ম্মিত শিবলিঙ্গেরপূজা, চন্ডীরপূজার সহিত তিনরূপ দেবীমাহাত্ত্বপাঠ, চার আনা ওজনে কাঞ্চনদান,শ্রীবিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ, নবগ্রহপূজা, স্তব ও স্তোত্র পাঠ, শ্রী বিষ্ণুর 108 উড়ম্বর সমিধ দ্বারা বিশেষ হোম, ও শোড়শপচারে শ্রীবিষ্ণুর পূজা. ও প্রত্যেকের স্ব স্ব মন্ত্রের সহিত সমিধ দ্বারা হোম. বলিদান. রক্ষাকরণ. ইত্যাদি.***

Monday, October 19, 2020

উপনয়নের অধিকার অনধিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

 


উপনয়ন ছাড়া শ্রৌত ও স্মার্ত কাজে অধিকার হয় নাঃউপনয়ন ছাড়া শ্রৌত ও স্মার্ত কোনো কাজে অধিকার হয় না।মনুসংহিতায় বলা হয়েছে, " বেদপ্রদানাদাচার্যং পিতরং পরিচক্ষতে ।ন  হ্যস্মিন্ যুজ্যতে কর্ম কিঞ্চিদামৌঞ্জিবন্ধনাৎ( ২|১৭১)।" সরলার্থ হলো, "উপনয়নের আগে শ্রৌত ও স্মার্ত কোনো কাজে অধিকার হয় না।আচার্য উপনয়ন দিয়ে এবং বেদ অধ্যয়ন করিয়ে উক্ত কাজে অধিকার করিয়ে দেন,তাই আচার্য মহান উপকারক বলে মনু প্রভৃতি এঁকে পিতা বলেছেন ।"নারীদের উপনয়ন সংস্কার না থাকায় শ্রৌত ও স্মার্ত কর্ম হতে বঞ্চিত করা হয়েছে ।এমনকি ব্রাহ্মণ সন্তানদের উপনয়ন না হওয়া পর্যন্ত শ্রৌত ও স্মার্ত কর্ম করার নিষেধ দেয়া হয়েছে ।কাজেই, যারা উপনয়ন সংস্কার ছাড়া শ্রৌত ও স্মার্ত কর্ম করছেন তারা শাস্ত্রীয় বিধানমতে করছেন না।হয়তো কেউ কেউ বলবেন, মনুস্মৃতি সত্য যুগের জন্য প্রযোজ্য ।আমি বলি, মনু হলেন মানব জাতির আদি পিতা ।তাই পিতার কথা আমাদের অবশ্যই মেনে চলা উচিত ।কারণ পিতার কথা কখনো বাসী হয় না।তাছাড়া শ্রুতির সাথে বিরোধ হলে স্মৃতি অবশ্যই অগ্রাহ্য ।আমার ব্যাখ্যা ধর্মশাস্ত্র তথা স্মৃতি শাস্ত্রের আলোকে, আমার কোনো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়।তবে কেউ শাস্ত্র না মেনে শ্রুতি ও  স্মৃতি অধ্যয়ন করলে  সেটা তাদের নিজস্ব দায়িত্ব ।

#অশৌচাবস্থায় নিত্য, কাম্য বা দান হোমাদি,পূজা করা শাস্ত্রে নিষেদ করা হয়েছে কি না আসুন দেখে নিই।

 অশৌচাবস্থায় নিত্য,  কাম্য বা দান হোমাদি,পূজা করা শাস্ত্রে নিষেদ করা হয়েছে।।


বর্তমানে বৈষ্ণব নাম দ্বারি নব্য কৃষ্ণ ভক্তগন গীতা ভাগবত পাঠে আলোচনার নামে ধর্মীয় আলোচনা করতে গিয়ে অশাস্ত্রীয় বিধি দিয়ে থাকেন, উনাদের বক্তব্য হলো :অশৌচ অবস্তায় নিত্যকর্ম্ম অনুসারে নিজ দেব গৃহে পূজা করা যাবে,কারন দেবতা কে অভূক্ত রাখা যাবে না।পুরোহিত গন যে ব্যাবস্থা দিয়ে থাকেন তা সম্পোন্য ভূল,তাই অশৌচ অবস্থায় ও দেবতার পূজা করে জাবে, নিজ ইষ্টদেবতা কে অভূক্ত রাখতে নাই,(এরখম কুযুক্তিদ্বারা শাস্ত্রনিষিদ্ধ কর্ম করাতে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে নব্য কৃষ্ণভক্ত পাষণ্ডগন।)

আসুন দেখি শাস্ত্রে কি বলা আছে --

(১)প্রথম প্রমাণ-ভগবান বেদব্যাস বলিলেন-

দশাহং প্রাহুরাশৌচং সপিণ্ডেষু বিপশ্চিতঃ।

মৃতেষু বাপি জাতেষু ব্রাহ্মণানাং দ্বিজোত্তমাঃ।।

নিত্যানি চৈব কর্ম্মাণি কাম্যানি চ বিশেষতঃ।

ন কুর্য্যাদ্বিহিতং কিঞ্চিৎ স্বাধ্যায়ং মনসাপি চ।।


অনুবাদঃ ব্যাস বলিলেন-সপিণ্ড জননে বা সপিণ্ড-মরণে ব্রাহ্মণের দশাহাশৌচ মুনিগণ বলিয়াছেন।এই অশৌচ অবস্থায় নিত্য,কাম্য বা অন্য বিহিত কর্ম্ম কিছুই করিবে না এবং মনে ও বেদের আলোচনা করিবে না।

কূর্ম্ম-পুরাণ, উপরিভাগ২৩তম অধ্যায়১-২নং শ্লোক।


 (২)এই নিয়ম শুধু ব্রাহ্মণের জন্য নয়,চার বর্ণের পৃথক পৃথক অশৌচ অবস্থায় যজ্ঞ পুজা দেবগৃহ প্রবেশকরে নিত্য পুজা ও ভূগ নৈবদ্য প্রদান করা নিষেদ,

বেদব্যাস বলিলেন-

দশাহং ব্রাহ্মণস্তিষ্ঠেদ্দানহোমবিবর্জ্জিতঃ।

ক্ষত্রিয়ো দ্বাদশাহঞ্চ বৈশ্যো মাসার্দ্ধমেব চ।।

শূদ্রশ্চ মাসামাসীত নিজকর্ম্মবিবর্জ্জিতঃ।


অনুবাদঃ ভগবান ব্যাস বলিলেন-জন্ম ও মরণ উপলক্ষে ব্রাহ্মণ দশাহ,ক্ষত্রিয় দ্বাদশাহ,বৈশ্য মাসার্দ্ধ যাবৎ দান হোম বর্জ্জন পূর্ব্বক থাকিবে।শুদ্র এক মাস নিজ কর্তব্য বর্জ্জন করিবে।অর্থাৎ নিত্য নৈমিত্তিক কাম্য কর্ম্ম কর্ম্মাদি অনুষ্টান করিবে না।

ব্রহ্মপুরাণ২২১/১৪৭-১৪৮।।


(৩)ঐ একই কথা বলা হয়েছে মার্কেণ্ডপুরাণে

জননাশৌচেও মরণাশৌচে বিপ্রগণ দশদিন যাবৎ দান  হোমাদি  নিত্যকর্ম্ম -বর্জ্জিত হইয়া অবস্থিতি করিবেন এবং ক্ষত্রিয়গণ দ্বাদশদিন,বৈশ্যরা পঞ্চদশ দিন ও শুদ্রগণ একমাস যাবৎ দান ঐরূপ আচরণে থাকিবে।


ততঃ পরং নিজং কর্ম্ম কুর্য্যঃ সর্ব্বে যথেপ্সিতম।


তৎপরে সকলেই শাস্ত্রোক্ত বিধানে স্ব স্ব কর্ম্মের অনুষ্টান করিবে।

মার্কেণ্ডপুরাণ ৩৫/৪০-৪১

অশৌচ অন্তহলে তৎপরে স্ব স্ব কর্ম্মের অনুষ্টন  শাস্ত্রউক্ত ভাবে  সম্পোন্য করিবে।

শাস্ত্র বিধি মান্য করেই আমাদের কে চলতে হবে, কি কর্ম্ম কি অকর্ম্ম তা শাস্ত্র হতেই নির্নয় করতে হবে ইহা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদেশ।

আর এই আদেশ কে মান্য করা আমাদের সকলের ই কর্তব্য।।

                          জয় শ্রীকৃষ্ণ।।

                   ((শ্রী সমীরণ ভট্টাচর্য্য))

Ekadoshi

লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

  চন্দ্রগঞ্জ  প্রতিনিধি : বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন...

চারবর্ণের অশৌচ ব্যবস্তা