Thursday, September 18, 2025

তর্পণ বিধি

 আমি প্রথমেই মহালয়া বিষয়ে দু'একটা কথা বলে নিই, তারপর  তর্পণ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। 

মহালয়া মানে শুধু মায়ের আগমন নয়, মহালয়া মানে পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পবিত্র লগ্ন।"

​"পিতৃপক্ষের অবসানে, মহালয়ার পূণ্যতিথিতে পিতৃতর্পণ হলো পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনার এক শ্রদ্ধার্ঘ্য।"

​"যেই পূর্বপুরুষেরা আমাদের জীবনের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন, মহালয়ার পুণ্যলগ্নে তাঁদের প্রতি তর্পণ করে আমরা আমাদের ঋণ স্বীকার করি।"

​"পিতৃতর্পণ শুধু একটি প্রথা নয়, এটি হলো একাত্মতার বন্ধন। মহালয়ার দিনে আমাদের পূর্বপুরুষেরা ফিরে আসেন আশীর্বাদ দিতে।"

​"মহালয়ার ভোরে নদীর ঘাটে তর্পণের মন্ত্রধ্বনি, যেন আমাদের আর আমাদের পূর্বপুরুষদের মাঝে এক অদৃশ্য সেতু রচনা করে।

 এবার তর্পণের বিধি নিয়ে, 

-----------------------------------------------

তর্পণকারী মানব প্রথমে অবগাহন স্নান করে আর্দ্রবস্ত্রে জলাশয়ে (নদী বা পুস্করিণীতে)  নাভীপ্রমান জলে দাঁড়িয়ে, গঙ্গামাটির তিলক ধারণ ও শিখাবন্ধন করবেন, তারপর বামহস্তে কুশি ধরে তার সাহায্যে কোষা থেকে একটু জল গোকর্ণাকৃতি ডান হাতের (হাতের সব আঙ্গুল যোগ করে বুড়ো আঙ্গুল বাদে অন্য সব আঙ্গুল একটু তুলতে হবে যাতে একটু জল ধরে) ব্রাহ্মতীর্থে (অঙ্গুষ্ঠ মূলে জল নিয়ে) তিন বার পান করুন এবং তারপর হস্ত অঙ্গুষ্ঠ দ্বারা দুই বার মুখ মার্জনা করুন, তর্জনী মধ্যমা অনামিকাগ্র দ্বারা মুখ স্পর্শ করুন, অঙ্গুষ্ঠ তর্জনী দ্বারা নাসিকা দ্বয় স্পর্শ করুন,  অঙ্গুষ্ঠ অনামিকাগ্র দ্বারা নেত্র ও কর্ণ দ্বয় স্পর্শ করুন, অঙ্গুষ্ঠ কনিষ্ঠা দ্বারা নাভি স্পর্শ করে তারপর হাত ধুয়ে নিবেন। 

তারপর আবার নিম্নলিখিতভাবে অঙ্গ মার্জন বা স্পর্শ করুন  করতল দ্বারা হৃদয় স্পর্শ করবেন, অঙ্গুলীগুলি একত্র করে মস্তক স্পর্শ করবেন এবং

 অঙ্গুলী অগ্রভাগ দ্বারা নিজের দুই বাহুমূল স্পর্শ করে আবার  হাত ধুয়ে নিন এবং বিষ্ণুর প্রসন্ন মুখ স্মরণ করে করজোড় করে পাঠ করবেন।

 (দ্বিজাতি সংস্কারহীন মানব, ওঁ পরিবর্তে নমঃ বলবেন আর দেবশর্মা স্থলে দাস বা দাসী বলবেন।)

 জোড়হাত করে ওঁ বিষ্ণুঃ বা ওঁ বিষ্ণোঃ তিনবার  বলুন।

এবার বিষ্ণুস্মরণ (দেহ ও মন পবিত্রকরণ)  হবার পর বিষ্ণুর প্রসন্ন মুখ স্মরণ করে জোড় হাত করে পাঠ করুন.......

ঔঁ শঙ্খচক্র ধরং বিষ্ণুং দ্বিভুজং পীতবাসসম্।

প্রারম্ভে কৰ্মণাং বিপ্রঃ পুণ্ডরীক্ষং স্মরেদ্ধরিম্।।

অর্থাৎঃ- দুইহাতে শঙ্খচক্র, পীত বস্ত্র পরিহিত বিষ্ণুকে সমস্ত কাজের আগে জ্ঞানীরা স্মরণ করেন।

ঔঁ তদবিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সুরয়ঃ। দিবীব চক্ষুরাততম্।

অর্থাৎঃ- ভগবান বিষ্ণু সবার পরম আশ্রয় এবং জ্ঞানীরা সেই বিষ্ণুকে সর্বদা সৰ্ব্বত্র দর্শন করেন।

ঔঁ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোপিবা।

যঃ স্মরেৎ পুন্ডরীকাক্ষং সবাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।।

অর্থাৎঃ– অপবিত্র বা পবিত্র যে কোন অবস্থায় বিষ্ণুকে স্মরণ করলে বাহ্য ও অভ্যন্তর দুই পবিত্র হয়ে যায়।

কুশধারণ অঙ্গুরীধারণ মন্ত্রঃ- নিম্ন মন্ত্রে বামহস্তে অনামিকাতে কুশাঙ্গুরীয় ধারণ করবেনঃ—

অস্য বটুধারণ মন্ত্রস্য মহাবামদেব ঋযিৰ্বিরাড় গায়ত্রীচ্ছন্দো বটু দেবতা গ্রহণে বিনিয়োগ।

ওঁ ত্বং ব্রহ্মা, ত্বঞ্চ বিষ্ণুশ্চ, ত্বং রুদ্রং প্রজাপতিঃ।।

ত্বমেব ভগবন্দেব বটুদেব নমোহস্তুতে।।

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লীং বিবস্রং বং বটুকায় নমঃ।।

দক্ষিণ হস্তের অনামিকাতে কুশাঙ্গুরীয় ধারণঃ-

ওঁ বিরিঞ্চিনা সহোৎপন্নঃ পরমেষ্ঠিনিসর্গজঃ।

নুদঃ সৰ্বাণি পাপানি দর্ভ স্বস্তিকরো ভব।।

সাক্ষীসুত্র পাঠ বা আবাহনঃ- 

জোড় হাত করে পাঠ করুন....

ঔঁ সূর্যঃ সোমো যমঃ কালো মহাভূতানি পঞ্চ বৈঃ।

এতে শুভাশুভসেহ কর্মণো নবসাক্ষিণঃ।।

অর্থাৎঃ – সূর্য, চন্দ্র, যম, কাল, পঞ্চমহাভুত (ক্ষিতি,অপ,তেজ, মরুৎ, ব্যোম্) এই নয়জন সমস্ত শুভাশুভ কর্মের সাক্ষী থাকেন।

গায়ত্রী জপ ও সমর্পণ অনন্তর অন্তত ১০ বার গায়ত্রী এবং / অথবা দীক্ষামন্ত্র জপ করুন। 

ডান হাতে একটু জল নিয়ে নিম্নলিখিত মন্ত্রে সেই জল ভূমিতে ফেলে দিন।

ঔঁ গুহ্যাতি গুহ্যগোপৃত্রী ত্বং গৃহাণাস্মকৃতং জপং।

সিদ্ধির্ভবতু মে দেবি ত্বৎপ্রসাদান্মহেশ্বরী।।

অর্থাৎঃ– হে দেবি, তোমার গুহ্যের গুহ্য মন্ত্রজপ গ্রহণ কর এবং তোমার দয়ায় আমার কার্যসিদ্ধি হোক।

কোষার জলে তীর্থ আবাহনঃ-

 জোড় হাত করে পাঠ করুন.....

ঔঁ কুরুক্ষেত্রং গয়া গঙ্গা প্রভাসপুষ্করাণি চ।

তির্থান্যেতানি পুণ্যানি তর্পণকালে ভবহি।।

অর্থাৎঃ– কুরুক্ষেত্র, গয়া, গঙ্গা, প্রভাস, পুষ্কর ইত্যাদি পুণ্য তির্থ এখানে তর্পণকালে উপস্থিত হোন।

 প্রথমে করবেন, দেব তর্পণঃ-

প্রয়োগ – উপবীতী (পৈতা স্বাভাবিক – বাঁ কাঁধে), পুর্বমুখ, দৈবতীর্থে শুদ্ধ জলে তর্পণ (তিল দিবেন না), অন্বার (বাঁ হাতে ডানহাত ধরে) তর্পণ বা জলদান, কোষাতে বিল্বপত্র, জল, যব ও ফুল নিয়ে.....

নিম্নলিখিত মন্ত্রে প্রত্যেককে ১ বার করে তর্পণ করুন।

১। ঔঁ ব্রহ্মা তৃপ্যতু।। যার অর্থ- ব্রহ্মা তৃপ্ত হোন।

২। ঔঁ বিষ্ণুস্তৃপ্যতু।। যার অর্থ-বিষ্ণু তৃপ্ত হোন।

৩। ঔঁ রুদ্ৰস্তৃপ্যতু।।  যার অর্থ-রুদ্র তৃপ্ত হোন।

৪। ঔঁ প্রজাপতিস্তৃপ্যতু।। যার অর্থ-প্রজাপতি তৃপ্ত হোন।

৫।ঔঁ দেবা যক্ষাস্তথা নাগা গন্ধৰ্বাষ্পরসোহসুরাঃ।

রাঃ সর্পাঃ সুপর্ণাশ্চ তরবো জিহ্মগাঃ খগাঃ।

বিদ্যাধরা জলাধারাস্তথৈবাকাশগামিনঃ।

নিরাহারাশ্চ যে জীবাঃ পাপে ধর্মেরতাশ্চ যে।

তেষামাপ্যায়নায়ৈতদ্দীয়তে সলিলং ময়া।।

 যার অর্থঃ- দেব, যক্ষ, নাগ, গন্ধৰ্ব্ব, অপ্সরা, অসুর, ক্রুর প্রাণী, সাপ, সুপর্ণ (দৈবশক্তি বিশিষ্ট পাখী বিশেষ, গরুড় জাতীয়), গাছ, সরীসৃপ, সাধারণ পাখী, বিদ্যাধর, জলচর, খেচর, নিরাহার (ভূতাদি), ধার্মিক, অধার্মিক সব জীবের তৃপ্তির জন্য আমি এই জল দিই।

 এবার মনুষ্য তর্পণ করবেন.... 

(ব্রহ্মার প্রথম সাত মনুষ্য পুত্রকে)

প্রয়োগ – নিবীতী (পৈতে গলায় মালার মত), পশ্চিমমুখ, অন্বারব্ধ (বাঁ হাতে ডানহাত ধরে), কায়তীর্থে (ডান হাতের কনিষ্ঠার মূল) শুদ্ধ জলে (তিল দিবেন না) অঞ্জলি দান করবেন।

তর্পণ-নিম্নলিখিত মন্ত্রে ২ বার করে তর্পণ করুন

ঔঁ সনকশ্চ সনশ্চ তৃতীয়শ্চ সনাতনঃ।

কপিলশ্চাসুরিশ্চৈব বোঢ়ঃ পঞ্চশিখস্থথা।।

সৰ্ব্বেতে তৃপ্তিমায়ান্তু মদ্দত্তেনাম্বুনা সদা।।

যার৷ অর্থঃ- সনক, সনন্দ, সনাতন, কপিল, আসুরি,বোঢ়,পঞ্চশিখ আমার দেওয়া জল তৃপ্ত হোন।

 এবার ঋষি তর্পণ করবেন..... 

(মরীচি আদি ঋষিগণ) 

প্রয়োগঃ- উপবীতী (পৈতা স্বাভাবিক, বাঁ কাঁধে), পুর্বমুখ, দৈবতীর্থদ্বারা শুদ্ধ জলে (তিল দিবেন না) তর্পণ, অম্বারব্ধ (বাঁ হাতে ডানহাত ধরে)।

তর্পণঃ- নিম্নলিখিত মন্ত্রে ১ বার করে তর্পণ করুন।

১। ঔঁ মরীচিস্তৃপ্যতু।  যার অর্থ-মরীচি তৃপ্ত হোন।

২। ঔঁ অত্রিস্তৃপ্যতু।  যার অর্থ-অত্রি তৃপ্ত হোন।

৩। ঔঁ অঙ্গিরাস্তৃপ্যতু।  যার অর্থ-অঙ্গিরা তৃপ্ত হোন।

৪। ঔঁ পুলস্ত্যস্তৃপ্যতু। যার অর্থ- পুলস্ত্য তৃপ্ত হোন।

৫। ঔঁ পুলহস্তৃপ্যতু।  যার অর্থ- পুলহ তৃপ্ত হোন।

৬। ঔঁ ক্রতুস্তৃপ্যতু।  যার অর্থ-ক্রতু তৃপ্ত হোন।

৭। ঔঁ প্রচেতাস্তৃপ্যতু।  যার অর্থ-প্রচেতা তৃপ্ত হোন।

৮। ঔঁ বশিষ্ঠস্তৃপ্যতু।  যার অর্থ-বশিষ্ঠ তৃপ্ত হোন।

৯। ঔঁ ভৃগুস্তৃপ্যতু।  যার অর্থ-ভৃগু তৃপ্ত হোন।

১০। ঔঁ নারদস্তৃপ্যতু।  যার অর্থ-নারদ তৃপ্ত হোন।

এরপর দিব্যপিতৃতর্পণ করবেন...........

প্রয়োগঃ- প্রাচিনাবীতী, দক্ষিণমুখ, সতিল জল পিতৃতীর্থে প্রদান করবেন।

তর্পণঃ- নিম্নলিখিত মন্ত্রে ১ বার করে তর্পণ করুন।

১/ওঁ অগ্নিষ্বাত্তাঃ পিতরস্তৃপ্যনতামেতৎ সতিলোদকং তেভ্যঃ / স্বধা।

২/সৌম্যাঃ পিতরস্তৃপ্যনতামেতৎ সতিলোদকং তেভ্যঃ / স্বধা।

৩/ হবিষ্মন্তঃ পিতরস্তৃপ্যনতামেতৎ সতিলোদকং তেভ্যঃ / স্বধা।

৪/উষ্মপাঃ পিতরস্তৃপ্যনতামেতৎ সতিলোদকং তেভ্যঃ / স্বধা।

৫/সুকালিনঃ পিতরস্তৃপ্যনতামেতৎ সতিলোদকং তেভ্যঃ / স্বধা।

৬/বর্হিষদঃ পিতরস্তৃপ্যনতামেতৎ সতিলোদকং তেভ্যঃ / স্বধা।

৭/আজপ্যাঃ পিতরস্তৃপ্যনতামেতৎ সতিলোদকং তেভ্যঃ / স্বধা।

 এবার যম তর্পণ করবেন!

 প্রয়োগ – প্রাচিনাবীতী, দক্ষিণমুখ, সতিল জল পিতৃতীর্থে প্রদান

তর্পণঃ- নিম্নলিখিত মন্ত্রে ৩ বার করে তর্পণ করুন।

ঔঁ যমায় ধর্মরাজায় মৃত্যবে চান্তকায় চ।

বৈবস্বতায় কালায় সৰ্ব্বভূতক্ষয়ায় চ।

ঔঁড়ম্বরায় দধূণায় নীলায় পরমেষ্ঠিনে।

বৃকোদরায় চিত্রায় চিত্রগুপ্তায় বৈ নমঃ।

অর্থাৎঃ– যম, ধর্মরাজ, মৃত্যু, অন্তক, বৈবস্বত, কাল, সৰ্ব্বভূতক্ষয়, ঔঁড়ম্বর, দধূণ, নীল, পরমেষ্ঠি, বৃকোদর, চিত্র এবং চিত্রগুপ্ত – এই বিভিন্ন নামে যমকে আমি তর্পণ করছি।

এরপর ভীষ্মতর্পণ করবেন........

প্রয়োগ – প্রাচিনাবীতী, দক্ষিণমুখ, সতিল জল পিতৃতীর্থে প্রদান করবেন।

তর্পণঃ- নিম্নলিখিত মন্ত্রে  ১ বার তর্পণ করুন।

ওঁ বৈয়াঘ্রপদ্যগোত্রায় সাঙ্কৃত্যপ্রবরায় চ্।

অপুত্রায় দদাম্যেতৎ সলিলং ভীষ্মবর্মণে।।

অর্থাৎঃ-

বৈয়াঘ্রপদ্য যার গোত্র, সাস্কৃত্য যার প্রবর, সেই অপুত্রক ভীষ্মবর্মাকে এই জল দিচ্ছি।

এরপর জোড়হাতে প্রার্থনা করবেন.....

ওঁ ভীষ্মঃ শান্তনবো বীরঃ সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয়ঃ।

আভিরদ্ভিরবাপ্নোতু পিত্রপৌত্রাচিতাং ক্রিয়াং।।

অর্থাৎঃ- 

শান্তনুপুত্র বীর সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয় ভীষ্ম এই জল দ্বারা পুত্রপৌত্রোচিত তর্পণাদি ক্রিয়ার জন্য তৃপ্তিলাভ করুন।

(বিঃ দ্রঃ- নির্দিষ্ট তিথি ছাড়া যম তর্পণ ও ভীষ্মতর্পণ করা যায় না। যেহেতু এটা তর্পণের পুর্ণাঙ্গ পোস্ট তাই উল্লেখ করা হল।)

এবার পিতৃগণের আবাহন করবেন......

জোড় হাত করে ভক্তিভরে সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে পিতৃমাতৃপুরুষ বা মাতাদের আবাহন করুনঃ–

ঔঁ আগচ্ছন্তু মে পিতর ইমং গৃহ্নপোহঞ্জলিম।

 যার অর্থঃ- হে পিতৃপুরুষ, আমার অঞ্জলি পরিমিত জল গ্রহণ করার জন্য আসুন।

এবার পিতৃতর্পণ করুন......

চিন্তা করুন আপনার পিতৃপুরুষ এবং অন্যান্যরা এসেছেন এবং তাদের উপস্থিতি অনুভব করুন।

পিতৃতর্পণ প্রয়োগঃ- প্রাচিনাবীতী, দক্ষিণ মুখ, সতিল জল পিতৃতীর্থে প্রদান তর্পণ-অনন্তর নিম্নোক্ত মন্ত্রে তর্পণ করুন। 

প্রত্যেক বার মন্ত্র বলতে হবে।

১/পিতা ৩ বার.....

 ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্র পিতঃ......... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

২/পিতামহ ৩ বার.... …

 ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্র পিতা মহং ...... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

৩/প্রপিতামহ ৩ বার......

 ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্র প্রপিতা মহং ...... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

৪/মাতামহ ৩ বার........

 ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্র মাতা মহং ...... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

৫/প্রমাতামহ ৩ বার......

 ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্র প্রমাতামহং ...... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

৬/বৃদ্ধ প্রমাতামহ ৩ বার........

 ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্র বৃদ্ধ প্রমাতামহং ...... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

৭/মাতা ৩ বার.......

 ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্রে মাতঃ  ...... দেবী তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্যৈ স্বধা নমঃ।

৮/পিতামহী ৩ বার........ 

ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্রে পিতামহী ...... দেবী তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্যৈ স্বধা নমঃ।

৯/প্রপিতামহী ৩ বার.......

ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্রে প্রপিতামহী ...... দেবী তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্যৈ স্বধা নমঃ।

এরপরে নিম্নলিখিতদের ১ বার করে তৰ্পণ করুন। একাধিক পিতৃব্য, মাতুল ইত্যাদি পরিজন যদি মৃত থাকে তবে প্রত্যেককে আলাদা ভাবে একবার তর্পণ করুন।

মাতামহী ১ বার...... 

 ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্রে মাতামহী  ...... দেবী তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্যৈ স্বধা নমঃ।

প্রমাতামহী ১ বার...... 

 ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্রে প্রমাতামহী  ...... দেবী তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্যৈ স্বধা নমঃ।

 বৃদ্ধপ্রমাতামহী ১ বার.....

 ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্রে বৃদ্ধপ্রমাতামহী  ...... দেবী তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্যৈ স্বধা নমঃ।

ভ্রাতুস্পুত্র ১ বার......

ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্র ভাতুস্পুত্রঃ......... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

পিতৃব্য ১ বার......... 

ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্র প্রথমপিতৃব্যং......... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্র পিতৃব্যঃ......... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

মাতুল ১ বার...... 

ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্র মাতুলঃ......... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

পিতৃম্বসা ১ বার.......

 ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্রে পিতৃম্বসাঃ  ...... দেবী তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্যৈ স্বধা নমঃ।

ভগিনী ১ বার......

 ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্রে ভগিনী  ...... দেবী/ কুমারী তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্যৈ স্বধা নমঃ।

স্ত্রীর পিতামহ ও পিতামহী ১ বার.......

ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্রে পত্নাঃ পিতামহং ......... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

ওঁবিষ্ণুরোম....... গোত্রা পত্নাঃ পিতামহীং ......... দেবী তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্যৈ স্বধা নমঃ।

স্ত্রীর মাতামহ ও মাতামহী ১বার করে......

ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্রে পত্নাঃ মাতামহং ......... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

ওঁবিষ্ণুরোম....... গোত্রা পত্নাঃ মাতামহীং ......... দেবী তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্যৈ স্বধা নমঃ।

স্ত্রীর মাতুল ১ বার

ওঁ বিষ্ণুরোম....... গোত্রে পত্নাঃ মাতুলং ......... দেবশর্ম্মন্ তৰ্পয়ামি/ তৃপ্যস্ব, এতৎ সতিলোকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।

এবার অগ্নিদগ্ধে মৃতদের জন্য......

প্রয়োগঃ- প্রাচিনাবীতী, দক্ষিণমুখ, পিতৃতীর্থ তর্পণ সতিল জলে নিম্নোক্ত মন্ত্রে ১ বার তর্পণ করুন।

ওঁ অগ্নিদগ্ধাশ্চ যে জীবা যেহপ্যদগ্ধাঃ কুলে মম।

ভূমৌ দত্তেন তৃপ্যন্তু তৃপ্তা যান্তু পরাং গতিম্।।

অর্থাৎঃ-

যারা আমার কুলে জন্মে বা যে কোন প্রাণী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত হয়েছেন, তারা আমার ভূমিতে দেওয়া জলে তৃপ্ত হোন এবং মুক্ত হয়ে পরম গতি প্রাপ্ত হোন।

 এবার মৃত বন্ধুবান্ধবদের জন্য ১ বার....

প্রয়োগঃ- প্রাচিনাবীতী, দক্ষিণমুখ, পিতৃতীর্থ। 

সতিল জলে নিম্নোক্ত মন্ত্রে ১ বার তর্পণ করুন।

ওঁ যেহবান্ধবা বান্ধবা বা যেহন্যজন্মনি বান্ধবাঃ।

তে তৃপ্তিমখিলাং যান্তু যে চাম্মত্তোয়কাক্ষিণঃ।।

অর্থাৎঃ-

যারা বন্ধু নয় বা যারা বন্ধু অথবা যারা জন্মান্তরে বন্ধু ছিল এবং যারা আমার কাছে জলের প্রত্যাশা করে, তারা সম্পূর্ণ তৃপ্তি লাভ করুন।

এবার বস্ত্রনীপিড়োদক দ্বারা তর্পন করবেন.....

অর্থাৎ, তর্পনকারী তার পরিহিত ভিজে কাপড়টি নিংড়ে মাটিতে সেই নিংড়ানো জল ফেলবেন.....

প্রয়োগঃ- জলাশয় থেকে স্থলে উঠে প্রাচিনাবীতী, দক্ষিণমুখ, পিতৃতীর্থ দ্বারা সেই নিংড়ানো  সতিল জল ফেলবেন । 

সতিল জলে নিম্নোক্ত মন্ত্রে ১ বার তর্পণ করুন।

ওঁ যে চাস্মাকং কুলে জাতা অপুত্রাগোত্রিণো মৃতাঃ।

তে তৃপ্যন্তু ময়া দত্তং বস্ত্রনীপিড়োদকং। 

অর্থাৎঃ-

যারা আমাদের বংশে জন্মগ্রহন করে পুত্রহীন ও বংশহীন ভাবে মারা গেছেন, তারা এই বস্ত্রনীপিড়োদক দ্বারা তৃপ্ত হোন। 

উপরোক্ত বিধি অনুসারে তর্পণে যদি অসমর্থ হোন তখন রামতর্পণ করতে পারেন..... 

রামতর্পণ (আব্রহ্মলোক বা সমস্ত লোক) 

প্রয়োগঃ-প্রাচিনাবীতী, দক্ষিণমুখ, পিতৃতীর্থ তর্পণ সতিল জলে নিম্নোক্ত মন্ত্রে ৩ বার তর্পণ করুন।

ঔঁ আব্রহ্ম ভুবনাল্লোকা দেবর্ষিপিতৃমানবাঃ।

তৃপ্যন্তু পিতরঃ সৰ্ব্বে মাতৃমাতামহাদয়ঃ।।

অতীতকুলকোটীনাং সপ্তদ্বীপনিবাসিনা

ময়া দত্তেন তোয়েন তৃপ্যন্তু ভুবনত্রয়।

অর্থাৎঃ- 

ভু:লোক থেকে ব্রহ্মলোক অবধি যাবতীয় লোকে  অবস্থিত দেবগণ, ঋষিগণ, পিতৃগণ, মনুষ্যগণ, পিতৃকুল ও মাতৃকুল প্রভৃতি সকলে তৃপ্ত হোন।  

আমার পূর্ব পুৰ্ব্ব বহু কোটি জন্মের কুলের সবাই ও সপ্তদ্বীপনিবাসী সকল প্রাণী, ত্রিভুবন আমার দেওয়া এই রামতর্পণের জলে তৃপ্ত হোক। 

এতেও অপারগ হলে কেবলমাত্র লক্ষণ তর্পণ প্রশস্ত.... 

প্রয়োগঃ-প্রাচিনাবীতী, দক্ষিণমুখ, পিতৃতীর্থ তর্পণ সতিল জলে নিম্নোক্ত মন্ত্রে ৩ বার তর্পণ করুন।

আব্রহ্মস্তম্বপর্য্যন্তং জগৎ তৃপ্যতু।।

অর্থাৎ, ব্রহ্মা থেকে শুরু করে তৃণপর্যন্ত সকলেই তৃপ্ত হোন।

 এবার অছিদ্রাবরণ কর্ম সম্পাদিত করতে হবে.... 

ঔঁ অদ্য কৃত্যৈতৎ তর্পণকৰ্ম অচ্ছিদ্রম্ অন্তু।

ঔঁ অদ্য ইত্যাদি কৃতঃ অস্মিন্ তর্পণকৰ্ম্মাণ

যদ যদ বৈগুণ্যং জাতং তৎ দোষ প্রশমনায় ঔঁ বিষ্ণুস্মরণং করিষ্যে।।

অর্থাৎঃ- আজকের এই তর্পণকৰ্ম দোষমুক্ত হোক। আজকের এই তর্পণকৰ্ম্মে যে যে দোষ বা ত্রুটি হয়েছে, তার নিবারণের জন্য আমি শ্রীবিষ্ণু স্মরণ করব।

ঔঁ তদৃবিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সুরয়ঃ। দিবীব চক্ষুরাততং।

অর্থাৎঃ- সেই বিষ্ণু পরম আশ্রয় এবং জ্ঞানীরা ওনাকে সৰ্ব্বদা দর্শন করেন।

ঔঁ বিষ্ণুঃ – এই মন্ত্র দশবার পাঠ করুন।

জোড় হাত করে পাঠ করুন

ঔঁ অজ্ঞানা যদি বা মোহাৎ প্রচ্যবেতাধ্বরেষু

যৎ স্মরণাদেব তদ্বিষ্ণোঃ সম্পূর্ণং স্যাদিতি শ্রুতিঃ।।

অর্থাৎঃ- অজ্ঞানে বা ভুলে রুটি হয়ে থাকলে, বিষ্ণুস্মরণদ্বারা দোষমুক্ত হয়ে তাহা সম্পূর্ণ হয় এটিই  শ্রুতিতে  বলা হয়েছে ।


এবার বিষ্ণু সমর্পণ দক্ষিণ হাতে এক গণ্ডুষ জল নিয়ে পাঠ করুনঃ- 


ঔঁ প্রিয়তাং পুন্ডরীকাক্ষঃ সৰ্ব্বযজ্ঞেশ্বরো হরিঃ।

তস্মিংস্তুষ্টে জগতুষ্টং প্রীণিতে প্রীণিতং জগৎ।।

ময়া যদিদং তর্পণকৰ্মকৃতং তৎ সৰ্ব্বং ভগবদৃবিষ্ণুচরণে সমর্পিতম্।।ওঁ বিষ্ণুঃ। ওঁ বিষ্ণুঃ। ওঁ বিষ্ণুঃ।

অর্থাৎঃ– 

সমস্ত যজ্ঞের ঈশ্বর পুন্ডরীকাক্ষঃ শ্রীহরি বা বিষ্ণুর তৃপ্তি হোক।

ওনার সন্তুষ্টিতে জগৎ সন্তুষ্ট হয়,ওনার প্রীতিতে জগৎ প্রীত হয়।

 আমার এই সমস্ত তর্পণকৰ্ম্ম ভগবান শ্রীবিষ্ণু চরণে সমর্পণ করলাম।

বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে হাতের জল ত্যাগ করুন। 

চিন্তা করুন বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে সমস্ত ফলত্যাগ করলেন ও তিনি সানন্দে সমস্ত কৰ্ম্মফল গ্রহণ করলেন।

এবার পিতৃস্তুতি ও পিতৃপ্রণাম করবেন......

জোড়হাতে পুর্বমুখে সুর্যের দিকে তাকিয়ে বলবেন....

পিতা স্বর্গঃ পিতা ধর্ম্মঃ পিতা হি পরমং তপঃ।

পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রীয়ন্তে সর্ব্বদেবতাঃ।।

ওঁ পিতৃন্নমস্যে দিবি যে চ্ মুর্ত্তাঃ স্বধাভুজঃ কাম্যফলা ভিসন্ধৌ।

প্রদানশক্তাঃ সকলেপ্সিতানাং বিমুক্তিদা যেহনভিসংহিতেষু।।

পিতৃতর্পণ বিধি সম্পুর্ণ।।


Wednesday, September 17, 2025

শারদীয় দুর্গাপূজার অঞ্জলি,মন্ত্র সরল ও সহজভাবে,


 শারদীয়া দুর্গাপূজার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্রটি  আমাকে আমার এক বন্ধু অনুরোধ করেছিলেন অঞ্জলি  মন্ত্রটি সংগ্রহ করে সাজিয়ে ঘুজিয়ে লেখে দেওয়ার  জন্য, কারণ অনেক দুর্গাপূজা বিধিতে সহজ সরল ভাবে সাজানো থাকে না।  তাই সংক্ষিপ্ত ভাবে চেষ্টা করলাম।
এবং  আজকে সকলের জন্য শারদীয় দুর্গাপূজার সপ্তমী, মহাষ্টমী ও মহানবমী বিহিত পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র গুলি সহজ সরল ভাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করছি।। 
সপ্তমীর দিন মুলপুজা শেষ হবার পরঃ-
নিজের দুই-হাতে সচন্দনপুষ্প ও বিল্বপত্র নিয়ে অঞ্জলিপুটে দেবীর দিকে তাকিয়ে বলবেন......

 নমঃ আয়ুর্দ্দেহি যশো দেহি ভাগ্যং ভগবতি দেহি মে।
 পুত্রান্ দেহি ধনং দেহি সর্ব্বান্ কামাশ্চ দেহি মে।।

 হর পাপং হর ক্লেশং হর শোকং হরাসুখম্। 
হর রোগং হর ক্ষোভং হর মারীং হরপ্রিয়ে।। 

সংগ্রামে বিজয়ং দেহি ধনং দেহি সদা গৃহে।  ধর্ম্মার্থকামসম্পত্তিং দেহি দেবী নমোস্তুতে।। 

এষ সচন্দন-পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ নমঃ দক্ষযঞ্জ বিনাশিন্যে মহাঘোরায়ৈ যোগিনী কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ভগবত্যৈ দুর্গায়ৈ নমঃ।।

ওপরের মন্ত্রটি সঠিকভাবে  উচ্চারণ পুর্বক দেবী দুর্গার চরনে নিজের দুই-হাতের সচন্দনপুষ্প ও বিল্বপত্র অঞ্জলি দেবেন। 
এরপর দুইহাত জোড় করে দেবীর দিকে তাকিয়ে প্রনাম মন্ত্র পাঠ করবেন...... 

সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বাথসাধিকে। 
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোস্তুতে।। 

মহাষ্টমীর দিন মুলপুজা শেষ হবার পরঃ-
নিজের দুই-হাতে সচন্দনপুষ্প ও বিল্বপত্র নিয়ে অঞ্জলিপুটে দেবীর দিকে তাকিয়ে বলবেন......

নমঃ মহিষগ্নি মহামায়ে চামুন্ডে মুন্ডমালিনি।
 আয়ুরারোগ্য বিজয়ং দেহি দেবী নমোস্তুতে।। 

নমঃ সৃষ্টিস্থিতিবিনাশানাং শক্তিভূতে সনাতনি।
 গুণাশ্রয়ে গুণময়ে নারায়ণি নমোস্তুতে।। 

 নমঃ শরণাগতদীর্নাত পরিত্রাণপরায়ণে।
 সর্বস্যাতিহরে দেবী নারায়ণি নমোস্তুতে।। 

এষ সচন্দন-পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ নমঃ দক্ষযঞ্জ বিনাশিন্যে মহাঘোরায়ৈ যোগিনী কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ভগবত্যৈ দুর্গায়ৈ নমঃ।। 

ওপরের মন্ত্রটি সঠিকভাবে  উচ্চারণ পুর্বক দেবী দুর্গার চরনে নিজের দুই-হাতের সচন্দনপুষ্প ও বিল্বপত্র অঞ্জলি দেবেন। 
এরপর দুইহাত জোড় করে দেবীর দিকে তাকিয়ে প্রনাম মন্ত্র পাঠ করবেন...... 

জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী।
দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোস্তুতে।। 

মহানবমীর দিন মুলপুজা শেষ হবার পরঃ-
নিজের দুই-হাতে সচন্দনপুষ্প ও বিল্বপত্র নিয়ে অঞ্জলিপুটে দেবীর দিকে তাকিয়ে বলবেন......

কালি কালি মহাকালি কালিকে কালরাত্রিকে।
 ধম্মকামপ্রদে দেবি নারায়ণি নমোস্তুতে।। 

 লক্ষ্মি লজ্জে মহাবিদ্যে শ্রদ্ধে পুষ্টি স্বধে ধ্রুবে।
 মহারাত্রি মহামায়ে নারায়ণি নমোস্তুতে।।

কলাকাষ্ঠাদিরূপেণ পরিণামপ্রদায়িনি।
 বিশ্বস্যোপরতৌ শক্তে নারায়ণি নমোস্তুতে।।

এষ সচন্দন-পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ নমঃ দক্ষযঞ্জ বিনাশিন্যে মহাঘোরায়ৈ যোগিনী কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ভগবত্যৈ দুর্গায়ৈ নমঃ।।

ওপরের মন্ত্রটি সঠিকভাবে  উচ্চারণ পুর্বক দেবী দুর্গার চরনে নিজের দুই-হাতের সচন্দনপুষ্প ও বিল্বপত্র অঞ্জলি দেবেন। 
এরপর দুইহাত জোড় করে দেবীর দিকে তাকিয়ে প্রনাম মন্ত্র পাঠ করবেন...... 

সর্বস্বরূপে সর্বেশে সর্বশক্তিসমন্বিতে।
ভয়েভ্যস্ত্রাহি নো দেবি দুর্গে দেবি নমোস্তুতে।। 

বিঃ দ্রঃ- পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র উচ্চারণের সময় নিজের হৃদয় বা অন্তঃস্থল নির্মল, নিষ্পাপ ও ধার্মিক হওয়া প্রয়োজন তবেই দেবী তা অঞ্জলি রুপে গ্রহন করবেন।।
 🙏জয় মা দুর্গা 🙏🙏১৭-০৯-২০২৫ইং

Ekadoshi

তর্পণ বিধি

 আমি প্রথমেই মহালয়া বিষয়ে দু'একটা কথা বলে নিই, তারপর  তর্পণ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।  মহালয়া মানে শুধু মায়ের আগমন নয়, মহাল...

চারবর্ণের অশৌচ ব্যবস্তা