স্রষ্টা ও সৃষ্টি
**************
-শ্রী পবিত্র কুমার চক্রবর্ত্তী
***********************
স্রষ্টা কি?
উত্তরঃ- যিনি সৃষ্টি করেন।
সৃষ্টি কি?
উত্তরঃ স্রষ্টা যাহা সৃষ্টি করেছেন।
শ্রীবেদ কি?
উত্তরঃ ঈশ্বরের নির্দ্দেশ বা ঈশ্বরের মুখশ্রীত বানী ।
পুরাণ কি?
উত্তরঃ শ্রীবেদের বিস্তারিত আলোচনা।
স্মৃতি কি?
সনাতন ধর্মের মানুষের কল্যানে ও সঠিক পথে পরিচালনার জন্য শ্রীবেদ বা পুরাণ থেকে উদ্ধৃত বিধি বিধান বা বাধ্য বাধকতা সমূহ।
ব্যাসদেব কে?
উত্তরঃ যিনি এই সকল শাস্ত্র সমূহ সম্পাদনা করেছেন, তিনিই হলেন এক মাত্র সম্পাদক এই ব্যাসদেব। তিনি ব্যাতিত আর কোন সম্পাদক পৃথিবীতে নাই এবং আর কেহ আসিবেও না।তাই এই বিধি বিধানই চলবে অনন্ত কাল পর্যন্ত।
যাহারা মোহ বশে এই সকল পবিত্র শাস্ত্র সমূহকে বা শাস্ত্রের বিধি বিধানকে পরিবর্তন করিতে চায় বা করে বা অবমাননা করে বা করিতে চায়, বুঝিতে হইবে যে, তাহার হয় আধা পাগল আর না হয় আসুরিক মনোবৃত্তির ব্যাক্তি।এদেরকে এড়িয়ে চলাই উত্তম ।
যাহারা মোহবশে সাধারন মানুষকে অসত্য ব্যখ্যা দিয়ে বিভ্রান্ত করিতেছেন,এদের কাছ থেকে শত মাইল দূরে থাকাই উত্তম।
কেহ হয়তো বলবে এত নিষ্ঠুর কথা কেন বললাম? বললাম এই জন্যই যে,শ্রী ভগবান নিজেই বলেছেন যে- যে ব্যাক্তি আমার কথার দোষ ধরে, যে আমার আদেশ উপদেশকে ভালবাসেনা ,তাহাকে আমার শাস্ত্র বলিবে না।
এই জন্যই এই কথা বলা হইল।
আমরা যদি ভগবানের মুখশ্রীত বানীকেই নিজের বা পৈত্রিক সম্পত্তি বলে মনে করে থাকি,তবে আর ঈশ্বরকে ডাকার প্রহসণ কেন? এই সকল শাস্ত্র নিয়ে নাড়াচারা কেন? পারলে নিজের মত করে ভিন্ন কিছু করি না কেন?
বাবা লোকনাথ ৫০ বছর হিমালয়ে কঠিন সাধনা করেছেন। তার পরবর্তীতে বাবা লোকনাথকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- আমিতো ঈশ্বরকে দেখিনি,তবে তাঁর মহিমাকে উপলব্ধি করতে পেরেছি যে,ঈশ্বরকে লাভ করা অত সহজ সাধ্য ব্যাপার নয়।
তাহলে যাহারা এখন ধর্ম ধর্ম করে উদাসিন হয়ে যাচ্ছেন তাহারা?
উত্তরঃ পথভ্রষ্ট তাহারা।
তাহলে আমাদের উপায়?
উপায় একটাই। তাহা হল- এই কঠিন জড় জগতে বেঁচে থাকার জন্য সৎপথে থেকে সংসারে কর্মও করতে হবে এবং শাস্ত্রের নির্দ্দেশ অনুযায়ী যথা সাধ্য যজ্ঞাদি কর্ম করতে হবে এবং গুরুদেবের আশ্রিত হয়ে পথ চলিতে হবে।
সর্বশেষে একটাই কথা, যদি আমরা স্রষ্টাকে বিশ্বাস করি, স্রষ্টাকে ভালবাসি-তবে তাঁর সৃষ্টিকেও আমাদেরকে ভালবাসতে হবে ,বিশ্বাস করতে হবে।
তবেই এই দুঃখ সংসার হইতে আমরা পাব স্বর্গ বা চিরমুক্তি পথ!
হে মহামতি,ভুলত্রুটি মার্জনা করিবেন!
জয় রাধে, জয় ব্রহ্মবাদ
No comments:
Post a Comment