Tuesday, December 8, 2020

সনাতন ধর্মে ঈশ্বরের সাকার রূপ অস্বীকারের উপায় নেইঃ

সনাতন ধর্মে ঈশ্বরের সাকার রূপ অস্বীকারের উপায় নেইঃ
সনাতন ধর্মের কিছু কিছু লোক বেদ ও গীতা মানেন; কিন্তু  ঈশ্বরের সাকার রূপ বিশ্বাস করতে চান না ।তা স্ববিরোধী হয়ে গেল না? গীতা হলো ভগবানের বাণী ।ভগবানের বাণী অস্বীকার করা কি সনাতনী দাবি করে সাজে? মোটেই না ।পবিত্র গীতায় ভগবান নিজে বলেছেন, " যখনই ধর্মের পতন ও অধর্মের উত্থান হয়,তখনই আমি নিজেকে সৃষ্টি করি অর্থাৎ দেহ ধারণ করে অবতীর্ণ হই( ৪|৭)।" আবার বলা হয়েছে, " সাধুগণের রক্ষার জন্য, দুষ্টগণের বিনাশের জন্য এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই (৪|৮)।" এই শ্লোকগুলো ভগবানের নিজের শ্রীমুখের বাণী ।তাৎপর্য হলো, ভগবানের অবতারের উদ্দেশ্য হলো তিনটি; ১. সাধুগণের রক্ষা ২. দুষ্টগণের বিনাশ ৩.ধর্ম সংস্থাপন ।এই তিনটি উদ্দেশ্য নিয়ে ভগবান মায়া প্রভাবে সৃষ্টি করেন।যে দেহ তিনি গ্রহণ করেন তা কর্মফল জনিত ভোগ দেহ নয়,তা মায়িক দেহ,দিব্য দেহ বা লীলা দেহ।তিনি জন্ম রহিত, তবু কি করে জন্ম হয় এ প্রশ্ন উঠে না,কারণ 'মায়া অঘটনঘটনপটিয়সী' ।
অবতার আসলে মায়া মনুষ্য ।ঈশ্বরের দেহধারণ এবং দেহত্যাগ তা সাধারণ মানুষের মতো নয়।কাজেই, ঈশ্বরের সাকার রূপ অস্বীকার করার অবকাশ নেই ।বেদ ও গীতা সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তুলে না বলে আমার বিশ্বাস ।গীতা ভগবানের বাণী হওয়া সত্ত্বেও প্রশ্ন তুললে মানুষ বেদ নিয়েও প্রশ্ন তুলবে? যারা শুধু শুধু বেদ বেদ বলে চিৎকার করেন,অন্য ধর্মগ্রন্থ মানেন না  তাদেরকে প্রশ্ন করি বেদ কার বাণী? হয়তো বলবেন বেদ ঈশ্বরের বাণী সবাই জানে, আপনি পণ্ডিত হয়ে জানেন না বুঝেন না।আপনারা বলেন ভগবানের বাণী হওয়া সত্ত্বেও ভগবান কত জায়গায় বা  মন্ত্রে নিজে বলেছেন ? অর্থাৎ কত জায়গায় ভগবানের সরাসরি বাণী আছে ? আমার জানামতে, বেশির ভাগ মন্ত্রে মুনিঋষিগণের প্রার্থনা আছে, ভগবান নিজে বলেননি ।তাহলে গীতায় ভগবানের সরাসরি বাণী মানেন না,পরোক্ষভাবে ভগবানের নির্দেশ মানবেন কীভাবে?বেদ যে ভগবানের বাণী তা ব্যাখ্যা দিতে কেউ না পারলে আমি ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করবো ।আমি বেদ ও গীতা কেন, স্মৃতি ও পুরাণ বিশ্বাস করি।তবে স্মৃতি ও পুরাণের কিছু কিছু শ্লোক বিষয়ে আমার নিজের ও খটকা লাগে ।গীতা, স্মৃতি ও পুরাণ যারা মানেন তাদের কাছে আমার  প্রশ্ন নয়,যারা এগুলো মানেন না  এবং শুধু নিরাকারবাদী তাদের কাছে আমার প্রশ্ন ।কেউ প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে আমাকে অশালীন ভাষায় আঘাত করবেন না,আমি নিজের উত্তর নিজেই খুঁজে নেব।তবে অনেক প্রশ্ন করে দেখেছি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্টরা নীরব থাকেন।কেন থাকেন  তা আমার জানা নেই ।আশা করি, পুরো বেদ যে ভগবানের বাণী সে বিষয়ে যথার্থ ব্যাখ্যা পাব।
পরিশেষে বলি, পবিত্র ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থ বিষয়ে সনাতনী হিসেবে অস্বীকার করার উপায় নেই ।মনের পূর্ণ সন্তুষ্টির জন্য ফেইসবুক বন্ধুদের কাছে শেয়ার করা।ভুল ভ্রান্তির জন্য পরমেশ্বরের নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থী ।

No comments:

Ekadoshi

লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

  চন্দ্রগঞ্জ  প্রতিনিধি : বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন...

চারবর্ণের অশৌচ ব্যবস্তা