বিবেকই হলো সর্বোচ্চ আদালত ও বিচারকঃ
সমস্যায় পড়লে বা বিপদে পড়লে মানুষ অন্য মানুষের পরামর্শ নেয়।অন্যের পরামর্শ নেয়া দোষের নয়।তবে তা যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ।মানুষ বিভিন্ন চরিত্রের থাকে ।বিপদের সময় পরামর্শ নিতে যেয়ে প্রকৃত মানুষ চেনা যায় ।কেউ স্বভাবতই ভালো মানুষ ।ভালো মানুষ জ্ঞান বশতঃ খারাপ পরামর্শ দিতে পারেন না; কিন্তু অনেক সময় আবেগ বশতঃ ভুল সিদ্ধান্ত দিতে পারেন ।একজন মানুষের মধ্যে সুমন্ত্রী ও কুমন্ত্রী থাকে।খারাপ লোক কুমন্ত্রীর প্ররোচনায় খারাপ পরামর্শ দিয়ে থাকে ।
আমার এক বিপদের সময় একজন বিজ্ঞ লোকের পরামর্শ নিতে যাই।তিনি আমাকে যে পরামর্শ দেন তা মনঃপূত হয়নি ।তিনি বিপদে হাল ছেড়ে দিতে বলেন ।আমি তার কথায় হাল ছেড়ে দেইনি ।পরে পরমেশ্বরের কৃপায় কৃতকার্য হয়েছি।অবশ্য তিনি আমাকে পরবর্তীতে আমার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান ।
কাজেই, বিপদের সময় ধৈর্য ধরে নিজ বুদ্ধি ও বিবেক খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ।বিবেকই হলো সর্বোচ্চ আদালত ও সর্বোচ্চ বিচারক ।বুদ্ধি হলো বিজ্ঞ আইনজীবীর মতো ।বুদ্ধির মধ্যেও সুবুদ্ধি ও কুবুদ্ধি আছে ।উভয় বুদ্ধির সাবমিশন ও যুক্তি তর্ক শুনে বিবেক নামক সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে মন্থন করে মাখন উত্তোলন করতে হবে ।আসলে অন্যের পরামর্শকে যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।আমি দ্বিতীয় বারের মতো সমস্যায় পড়ে ঐ বিজ্ঞ জনের কাছে যাই ।আমি উনার পরামর্শ যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার অপেক্ষায় আছি ।
অবশ্য আমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো যাচাই বাছাই করা ।আমার স্পষ্টভাষী স্বভাবের কারণে আমাকে সবাই বুঝতে পারে না।
আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বুঝতে পেরেছি যে,বিপদ সময় কেউ সুপরামর্শ, আবার কেউ কুপরামর্শ দেয়।তবে সুবিধা হলো তাদের মন মানসিকতা বুঝা যায় ।তবে বিভিন্ন লোকের পরামর্শ উভয় পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবীর যুক্তি তর্কের মতো কাজ করে ।
যাহোক পরিশেষে বলি, নিজের বিবেকপ্রসূত সিদ্ধান্তই হলো উত্তম সিদ্ধান্ত ।কারণ বিবেকই হলো সর্বোচ্চ আদালত ও বিচারক।তাই, অন্যের পরামর্শ যাচাই বাছাই করে নিজে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।তবে বিপদের সময় বা সমস্যা কালীন বিজ্ঞ জনের পরামর্শ নেয়া উচিত ।তা নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে সহায়ক ।
No comments:
Post a Comment