Friday, December 4, 2020

শূদ্রের অশৌচ বিধি নিয়ে কুমিল্লা মেঘনায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত,

  গীতার বক্তা সঞ্জয়,বিদুর প্রভৃতি অনেকেই শূদ্রবর্ণের শ্রদ্ধেও ব্যক্তিত্ব।আমরা তাদের শুদ্ধ সাত্ত্বিক সনাতন আদর্শের ধারক বাহক।জন্মগতভাবে যারা শূদ্র বর্ণ রয়েছেন তাদের মৃৃৃৃতাশৌচ কিংবা জননাশৌচে ত্রিশদিন অন্তে শুদ্ধ হতাম।এ ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের বংশ পরম্পরায় কখন কোন সন্দেহ বা দ্বিধা দেখা দেয়নি।আমরা সবাই মিলে মিশে তা পালন করতাম।সম্প্রতি আমাদের সমাজে অশৌচ নিয়ে নতুন মত প্রবেশ করে।নিজেদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়।পাড়া পড়শিরা এ নিয়ে বিবাদে জড়ায়।এতে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে আসে।নব্যপন্থীরা জবরদস্তি করে সর্ববর্ণের দশ দিন অশৌচ পালনে সবাইকে প্রলুব্ধ করতে থাকে।এই সংকট নিরসনে শ্রদ্ধেও চেয়ারম্যান সাহেবের আয়োজনে বিশাল সনাতন ধর্ম সভা অনুষ্ঠিত হয়।সেই অনুষ্ঠানে সর্ববর্ণের দশ দিন অশৌচের পক্ষে বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির শ্রদ্ধেয় বক্তাদের মধ্যে শ্রীমৎ বিমল চন্দ্র চক্রবর্তীসহ বেশ কয়েক জন বক্তা তাদের মতের স্বপক্ষে আলোচনা করেন ।আর চির প্রাচীণ সনাতন আদর্শের পক্ষে আলোচনা করেন কুড়িগ্রাম থেকে আগত দু'জন বৈদিক শাস্ত্রবেত্তা পণ্ডিত একজন শ্রী পঙ্কজ ভাদোর অপরজন যুক্তিবাগীশ শ্রী রায়ন চক্রবর্তী শুভ মহাশয়।আলোচনায়  এই সিদ্ধান্ত সর্বজন মান্য হয় যে শূদ্র বর্ণের অশৌচ ৩০ দিন।আমরা নিজেদের মধ্যে এ বিষয়ে বিবাদ কলহ নিস্পত্তির জন্য আলোচনা করে পূর্বপুরুষের পালিত এই বিধিবিধানে সম্মত হই।এ নিয়ে আমাদের মধ্য একটা অঙ্গিকার নামা স্বাক্ষরিত হয় ।সনাতন জনসাধারণের হিতার্থে সেটি প্রকাশ করা হলো।


আশা করি আমাদের স্বজাতির সকলেই তাদের পূর্বপুরুষের নিয়ম অনুসারে চলবেন।



No comments:

Ekadoshi

তর্পণ বিধি

 আমি প্রথমেই মহালয়া বিষয়ে দু'একটা কথা বলে নিই, তারপর  তর্পণ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।  মহালয়া মানে শুধু মায়ের আগমন নয়, মহাল...

চারবর্ণের অশৌচ ব্যবস্তা