শাঁখা ও নোয়া
****************
শ্রী পবিত্র কুমার চক্রবর্তী
************************
মঙ্গল চিহ্ন,
প্রভুর চরণ করিয়া স্মরণ
অধমে মিনতি জানাই,
তোমার চরণ সেবিয়া যেনগো
মরণে স্মরণ পাই।
কিবা লিখিব কলম ধরিব
তাহার সাধ্য নাই
প্রভু যদি করেগো কৃপা
তবেতো শক্তি পাই।
শাঁখা আর নোয়ার কথা
বলিব বিস্তারি আজ
ধর্মের কল্যানে করেন বিধি
এমন গুরু কাজ।
শঙ্খাসুর নামেতে অসুর
ছিল মর্ত ধামে
স্ত্রীরূপে ধরিয়া রাখিল তিনি
তুলসীরে বামে।
শঙ্খাসুরে পাইয়া তুলসী
অনন্দে ভরা মন
স্বামীর চরণ ভজে যতনে
দিয়া দেহ মন।
শঙ্খা সুরের অত্যাচার
দেখিয়া দয়াল হরি
বধিবে তাহারে ভাবিল মনেতে
ভাসাতে ধর্মের তরী।
সতী নারীর পতি কভু
মরেনা কোন ক্ষণে
এই বিষয়ে চিন্তিল তিনি
প্রভু নারায়ণে।
ভক্তের বাসনা পূর্ণের লাগিয়া
প্রভু জনার্দন
সতীত্ব করিল ম্লান প্রভু
উদ্ধারে সাধুজন।
নারায়ণ আর শঙ্খ অসুরে
বাঁধিল মহারণ
চক্র দিয়া শঙ্খের দেহ
করিল আক্রমন।
শঙ্খের অস্থি খুলে খুলে
পড়িল সাগর মাঝে
সেই অস্থিতে শঙ্খের জন্ম
আছে পুরাণ মাঝে ।
স্বামীর মৃত্যুতে নারায়ণে
দিলেন অভিশাপ
তোমার পূজা করিবেনা
মর্ত্তে নারীজাত।
তোমার শরীরে কলঙ্ক চিহ্ন
দিয়ে গেলাম আমি
অন্যায় ভাবে মেরেছ প্রভু
রণে আমার স্বামী।
প্রভু বলে শোনগো ধনি
তোমায় বর দিলাম
নারী সবে পড়িবে হস্তেতে
শঙ্খবালা নাম।
দোষের লাগিয়া নারী কভু
শাঁখ বাজাবে না
শাঁখ বাজালে অধঃগতি
শাস্ত্রে তাই মানা।
স্বাত্বিক গুণেতে নারীগণ
শাঁখা রাখিবে হাতে
স্বামীর আয়ু বৃদ্ধি তার
জেন হবে তাতে ।
লোহার আরেক নাম নোয়া
ডাকে জ্ঞানিজনে
ত্বম গুণের প্রতীক তাহা
জানিবেন মনে।
এই কারণে শাঁখা নোয়া
সধবা নারীর ভূষণ
নোয়া শাঁখা পড়ে নারী
করিয়া অনেক যতন।
সংক্ষেপেতে শাঁখা নোয়ার
তত্ত্ব দিলাম ইতি
গাহিলাম তুলসী বাখান
মধুরস গীতি।
অধম পবিত্র রচিলাম
শাঁখা নোয়া তত্ত্ব
শাস্ত্রের মাঝে ব্যাসদেব
লিখলো যাহা সত্য।
No comments:
Post a Comment