সত্যকাম জাবালা,
সে যুগে যুবকেরা ব্রহ্মচর্য নিয়ে বেদাধ্যায়ন করতো। সত্যকাম জাবাল একদিন মাকে বললো সেও গুরুকুলে যাবে এবং মাকে তার পরিচয় দেওয়ার জন্য গোত্র কি জানতেে চাইলো। আগে নামের শেষে গোত্র লিখে পরিচয় দেওয়ার রীতি ছিল। সত্যকাম যেহেতু পিতৃ পরিচয় জানতো না তাই মাকে গোত্রের কথা জিজ্ঞাসা করে।
মাতা জাবালা বললেন, "পুত্র তোমার গোত্র আমি জানি না। আমি বহু লোকের পরিচর্যা করে এবং বহু লোকের সঙ্গে বাস করে তোমাকে পেয়েছি। এজন্য তুমি কার দ্বারা জাত হয়েছ তা আমি সঠিক ভাবে জানি না, সেজন্য তোমার গোত্র কি বলতে পারব না। তোমার পরিচয় জানতে চাইলে তুমি বলবে আমি 'সত্যকাম জাবালা'।" সে গৌতম মুনির কাছে গিয়ে বললো,"আমি আপনার কাছে ব্রহ্মচর্যবাস করবো, এজন্য এসেছি।" প্রথা অনুযায়ী গৌতম তার গোত্র জিজ্ঞেস করলেন। সত্যকাম ও মায়ের কথামত জানালেন তিনি নিজের গোত্র জানেন না, তবে তার নাম সত্যকাম জাবাল। এই বলে মা যা বলেছিলেন সবই অকপটে বললেন।
গৌতম মুনি বললেন কোন অব্রাহ্মণ এরকম বাস্তব সত্য বলতে পারে না। এজন্য তেজের দরকার। ব্রাহ্মণ বলেই সত্যকাম এরূপ সত্য বলেছে। তাই গুরু গৌতম সত্যকামকে ব্রহ্মচর্য দিতে সম্মত হয়ে তাকে যজ্ঞের কাঠ আনতে বললেন এবং জানালেন যে তিনি সত্যকামের উপনয়ন দিবেন কেননা সে সত্য হতে বিচ্যুত হয়নি এবং তৎকালে বেদাধ্যয়নের আগে উপনয়নের প্রথা ছিল। উপনয়নের পর সত্যকাম ব্রহ্মচর্য শিক্ষা করতে লাগলেন।
No comments:
Post a Comment